নিজস্ব প্রতিবেদক : এবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে আগুন ধরে যায় ইঞ্জিনসহ ৪ বগিতে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এ কারণে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে উল্লাপাড়া স্টেশনে পয়েন্টিং সিগন্যালের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার ৩টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে বলে পশ্চিম রেলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় ট্রেনের লোকো মাস্টার এবং সহকারী লোকো মাস্টারসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সর্বশেষ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও দুটি বগিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুজ্জামান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, উল্লাপাড়া স্টেশনে পয়েন্টিং সিগন্যালের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহত ৫ থেকে ৬ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নাজির হোসেন জানান, ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে অন্য তিনটি বগি ধাক্কা দেয়। এতে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এতে সহযোগিতা করেন স্থানীয় জনগণ। দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে রংপুরগামী ৭৭১ রংপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে অপর চারটি বগিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন ধরে যায়। ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল হামিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে চালকের ভুলে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন দুর্ঘটনার জন্য তূর্ণা নিশীথার লোকোমোটিভ মাস্টারকে দায়ী করেন। দুর্ঘটনার পরই তূর্ণার লোকোমোটিভ মাস্টার ও সহকারী মাস্টারকে বরখাস্ত করা হয়।