নিজস্ব প্রতিবেদক : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ও নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) এম.এ জলিলের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগে আলোচনা সভা মঙ্গলবার তোপখানা রোডের সাংবাদিক নির্মল সেন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এমএ জলিল।
বক্তব্য রাখেন বিশ^ বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি কবি মুহম্মদ আবদুল খালেক, বাংলাদেশের ডেপুটি এটর্নী জেনারেল এডভোকেট নজরুল ইসলাম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এমএ ভাসানী, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব মো. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, ইবাই বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মো. শাহজাহান, জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল দীপু মীর, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা আ.স.ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রোকনউদ্দিন পাঠান, সাংবাদিক নসরুল হক, বরিশাল বিভাগ সমিতির অন্যতম নেতা শহীদুন্নবী ডাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি জাহানারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মেজর (অব.) এম.এ জলিল। পরবর্তীতে জেনারেল ওসমানীর কারসাজিতে মেজর জলিলকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিনি ৯ মাস জেল খেটে বঙ্গবন্ধুর আদেশে জেল থেকে মুক্তি পান। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত করলে বঙ্গবন্ধু মেজর জলিলকে সামুদ্রিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু মেজর জলিল বলেছিলেন আগামীতে আমি যা করবো তা আপনার পক্ষেই থাকবে। সে লক্ষ্যেই মেজর জলিল পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাসদের সভাপতি হিসেবে জাসদকে প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে যেই কথা হয়েছিল সেটি তিনি ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এর সভাপতি এম.এ জলিলের কাছে বলেছিলেন। তিনি আরো বলেছিলেন রাজনীতি করেছি বঙ্গবন্ধুর আমলে। কিন্তু জিয়া-এরশাদের আমলে রাজনীতি মানায় না। তারা স্বৈরাচারী কায়দায় দেশের আদর্শকে শেষ করার জন্য রাজনীতি করেন। মুক্তিযুদ্ধে মেজর জলিলের ভূমিকার জন্য বর্তমান সরকারের নিকট এই সভা থেকে আমাদের দাবি মেজর জলিলকে বীরউত্তম ভূষিত করা হোক।