নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মাসেই বসছে মেট্রোরেলের লাইন। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে এখন চলছে শেষ ধাপের কাজ। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মেট্রোরেলের প্রথম প্রকল্প চালু হবে। তবে তার আগে জুনেই প্রদর্শনীর জন্য স্থাপন করা হবে মেট্রোর রেপ্লিকা, যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
একটু একটু করে দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পৌনে ১২ কিলোমিটার লাইনে এখন চোখে পড়ছে এমন ৮ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট। এ লাইনের ৭১ নম্বর পিয়ার বা খুঁটি থেকে শুরু হচ্ছে মূল রেল লাইন বসানোর কাজ। প্রাথমিকভাবে দুই কিলোমিটার রেল লাইন বসানো হবে। এর প্রস্তুতিমূলক কাজের সঙ্গে চলছে মেট্রোরেল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা দেয়াল বা প্যারাপেট ওয়াল নির্মাণের কাজ।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, রেল লাইন বসানোর আগে আমাদের কিছু কাজ বাকি আছে। এ কাজগুলো ১৮ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ২০ তারিখে আমরা প্রস্তুত থাকব রেল লাইন বসাতে।
এ অংশের সার্বিক অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। এরই মধ্যে এ অংশে শেষ হয়েছে পিয়ার বা খুঁটি বসানোর কাজ। উত্তরা উত্তর, উত্তরা মধ্য ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। তবে মিরপুরের ৬টির মধ্যে ৩টি স্টেশন নিয়ে রয়েছে জটিলতা।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, তিনটি স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে।
২০১৩ সালে নগরীল যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে উড়াল ও পাতাল রেলপথ নির্মাণে গঠন করা হয় সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। এ কোম্পানির অধীনে ২০১৬ সালে ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল লাইন ৬ নির্মাণের কাজ।
নিচ থেকে দেখতে সরু মনে হলেও মেট্রো লাইনের ওপর থেকে ঠিকই বুঝতে পারছি মেট্রো লাইনের স্বাভাবিক প্রস্থ ১০ মিটার যা প্রায় ৩৩ ফুটের মতো। দেশের মাটিতে মেট্রো লাইনের এ কর্মযজ্ঞের পাশাপাশি জাপানে তৈরি হচ্ছে মেট্রোর কোচ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ইঙ্গিত দিচ্ছেন, আসছে বছরের জুন নাগাদ কোচগুলো দেশের মাটিতে পৌঁছানোর পরই শুরু হতে পারে এ উত্তরা-আগারগাঁও অংশে পরীক্ষামূলক মেট্রো চলাচল।