বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে সম্রাট ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি চাই পোস্টারে ছেয়ে গেছে সম্মেলনস্থলের চারপাশ! ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ক্যাসিনো-কা-ে গ্রেপ্তার যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি। তার মুক্তি চেয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের চারপাশে।
তাছাড়া পোস্টারে সম্রাটের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে।
পোস্টারে সেখানে লেখা হয়েছে ঢাকার রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী যুবলীগের ইসমাইল চৌধুরীর সম্রাটের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি চাই’। আর পোস্টারগুলো লাগানো হয়েছে ঢাকার তৃণমূলের সর্বস্তরের যুবসমাজ ও ঢাকার সর্বস্তরের যুবসমাজ নাম দিয়ে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবির হাটের গেট, শিশুপার্ক গেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনের গেট, রমনা কালি মন্দিরের গেট, তিন নেতার মাজারের গেটের সামনে মেট্রোরেলের সীমানা দেয়ালেও সম্রাটের মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানো হয়েছে। একইসঙ্গে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্টের সামন, জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতেও তার মুক্তির দাবিতে পোস্টার লাগানো হয়েছে। বিশেষ করে যেসব রাস্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নেতাকর্মীরা প্রবেশ করবেন, সেসব গেটেই পোস্টার লাগানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকার অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রক হিসেবে সম্রাট দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় ছিলেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর আবার আলোচনায় আসে সম্রাটের নাম। অভিযানের শুরুতে কয়েক দিন কাকরাইলে নিজের কার্যালয়ে থাকলেও পরে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদ- দেন। অস্ত্র ও মাদক রাখায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলাও করা হয়। দুই মামলায় সম্রাটকে রিমান্ডে নেয়া হয়। এখন কারাগারে রয়েছেন তিনি।