নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেও সফল হলোনা রেশমা খুনের ঘটনার মুল হোতা খুনি আব্দুস সালাম। তাকে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকার নুরনগর গ্রামের জনৈক সিরাজুল ইসলামের বসত বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই যশোর জেলা।
গত ২৭ আগস্ট, সকাল অনুমান সাড়ে ৭ টায় গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুস সালাম এর বর্তমান ভাড়াটিয়া বাসায় মামলার বাদী তার বোন মোছাঃ রেশমা খাতুন (৩৫) এর রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। বাদীর বোন রেশমা খাতুন হত্যাকান্ডের বিষয়টি বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ অবহিত হয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ভিকটিম রেশমা খাতুনের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মৃতদেহের ময়না তদন্তের জন্য লাশ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, যশোর মর্গে প্রেরণ করেন।
উক্ত বিষয়টি পিবিআই যশোর অবগত হয়ে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্ত্ববধান ও দিক নিদের্শনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্ত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ হাবিবুর রহমান, এসআই (নিঃ) সৈয়দ রবিউল আলম পলাশ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ যশোর জেলার আভিযানিক দল কর্তৃক গত ২৭ আগস্ট, রাত অনুমান সাড়ে ১০ টার সময় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন নুরনগর গ্রামস্থ জনৈক সিরাজুল ইসলামের বসত বাড়ি হতে আসামি আব্দুস সালাম মোড়ল(৪০), পিতা-মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাং-পাঁচভূলট, থানা : শার্শা, বর্তমান সাং : ছোট আঁচড়া, (জনৈক মো: রাশেদ মাস্টারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া) থানা : বেনাপোল পোর্ট, জেলা : যশোরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারপূর্বক উক্ত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে জানায় ভিকটিম মোছাঃ রেশমা খাতুন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। অনুমান ১২ বছর পূর্বে ভিকটিম এর সাথে তার বিবাহ হয়। ভিকটিম রেশমা খাতুনকে বিয়ের সময় ভিকটিম এর পূর্বের স্বামীর ঔরষের একটি পুত্র সন্তান ছিল। তার নাম মোঃ তামিম। বাদীর ঔরষে ভিকটিম এর গর্ভে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম তামান্না খাতুন (৫)। অনুমান ৩/৪ বছর ধরে হতে ভিকটিম এর সহিত গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুস সালাম এর পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ বিবাদ চলে আসছিল।
এমতাবস্থায় গত ২৭ আগস্ট রাত অনুমান ১ টা ৩০ মিনিটের সময় ভিকটিম রেশমা খাতুনের সাথে গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুস সালাম এর পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে আসামি আব্দুস সালাম নিজ ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে ভিকটিমের মাথার স্বজোরে আঘাত করে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে।
উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে যশোর বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নং-৩৯, তারিখ – ২৭/০৮/২০২৩ , ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোঃ হাবিবুর রহমান ঘটনা সংক্রান্তে জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করলে গত ২৮ আগস্ট, বর্ণালী রানী, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমালী আদালত, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামি আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্ত অব্যহত রয়েছে।