নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র আভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় টেকনাফের হ্নীলা সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ১.০৬৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ ১ জন মাদক পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ৫ সেপ্টেম্বর, রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্যের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদর থেকে একটি বিশেষ টহলদল এবং অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি হতে একটি চোরাচালান প্রতিরোধী টহলদল টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কের পার্শ্বে হ্নীলাস্থ আনোয়ার প্রজেক্ট এলাকায় কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কৌশলগত অবস্থান নেয়।
আনুমানিক রাত সাড়ে ১২ টায়, বিজিবি টহলদল ৪-৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আনোয়ার প্রজেক্টের পাশ দিয়ে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়ক অতিক্রম করে রঙ্গীখালী এলাকায় পাহাড়ের দিকে যেতে দেখে।
এসময় পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা টহলদল সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করলে তাদের মধ্য হতে একজন চোরাকারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং তার সাথে থাকা অপর চোরাকারবারীরা রাতের অন্ধকারে রঙ্গীখালী পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আটককৃত চোরাকারবারীর শরীর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশী করে তার কোমড়ে পরিহিত লুঙ্গীর ভাঁজে ১টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র (এলজি), ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং হাতে থাকা ব্যাগের ভিতর হতে ১.০৬৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ১০,০০০ (দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। উল্লেখ্য, পলাতক চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আটককৃত ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, মো দীল মোহাম্মদ (৫৭), পিতা-মৃত আব্দুস সালাম, গ্রাম-পশ্চিম লেদা, পোস্ট-হ্নীলা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
আটককৃত ব্যক্তিকে ক্রিস্টাল মেথ আইস, ইয়াবা ট্যাবলেট, এলজি এবং কার্তুজসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।