আলুর মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে ভোক্ত  অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক :  আলুর মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে,  মঙ্গলবার  ১২ সেপ্টেম্বর, সকাল ১০:৩০ মিনিটে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে (১ কারওয়ান বাজার, টিসিবি ভবন-৮ম তলা, ঢাকা) আলুর মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।উক্ত  সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)  এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব  মো: আলী আকবরসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন সুলতানা, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, এফবিসিসিআই এর তিনজন পরিচালক, ক্যাবের মহাসচিব এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, এনএসআই এর প্রতিনিধি, ডিজিএফআই এর প্রতিনিধি, আলু সংরক্ষণকারী বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজের প্রতিনিধিবৃন্দ, আলু বিক্রয়কারী বিভিন্ন আড়তদার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

সভার শুরুতেই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উল্লেখিত  সচেতনতামূলক সভার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে তিনি বলেন, ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধের লক্ষ্যে অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার অভিযান পরিচালনা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে নকল ও ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ভোক্তাবৃন্দ কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করে প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে থাকেন। তিনি বলেন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধে নিয়মিত বাজার তদারকি/অভিযান করা হয়ে থাকে।

মহাপরিচালক বলেন, আলু আমাদের দেশে মূলত প্রধান খাদ্য। আমরা সকলে জানি, আলু উৎপাদনে বর্তমানে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিগত কয়েক বছর ধরে আলুর মূল্য স্থিতিশীল ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় বাজারে হঠাৎ আলুর মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। আলুর মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করছিলাম। অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে যেমন ডলার সংকট বা বৈশ্বিক প্রভাবের কারণে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলা হয়ে থাকে কিন্তু আলুর মূল্য বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না। সে প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে আলুর মূল্য সংক্রান্ত বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। মহাপরিচালক সভায় অভিযান থেকে প্রাপ্ত অসঙ্গতিসমূহ তুলে ধরেন।

এরপর  তিনি অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলকে বিগত দিনগুলোতে আলুর মূল্যের উপর পরিচালিত অভিযানের বিষয়ে সভায় বলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে আলু বিক্রির ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অসংগতি যথা, দোকানে মূল্য তালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন করতে না পারা, পাকা ক্যাশমেমো প্রদান না করা, ক্রয়ের ক্যাশমেমো দেখাতে না পারা, হিমাগার থেকে রেশনিং করে কম সরবরাহ করা যাতে করে বাজার দর তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে ইত্যাদি বিষয় পরিলক্ষিত হয়। তিনি বলেন, আলু উৎপাদন হয়েছে কয়েক মাস আগে। অথচ হঠাৎ করে দাম বাড়ার কোন যৌক্তিকতা ব্যবসায়ীরা দেখাতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, আলু দেশে উৎপাদিত পণ্য। এটি আমদানীকৃত পণ্য নয়। ফলে ডলারের দাম বৃদ্ধি বা ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের সাথে এই পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সম্পর্ক নেই। তার পরও আগস্ট মাসে ২০-২৫ টাকার আলু বর্তমানে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আলোচনায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক  নাসরিন সুলতানা বলেন, আলুর যে উৎপাদনের কথা আমরা শুনি তাতে আলুর মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ নেই। কেন মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। এই মতবিনিময় সভার মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে জানা যাবে। জেলা পর্যায়ে আমরা মিটিং করছি, মনিটরিং করছি, সেখান থেকে আমরা তথ্য পাচ্ছি সবজির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আলুর মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া হিমাগার সমস্যার কারণে আলুর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আলোচনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, উৎপাদন হিসেবে আলু রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা মনে করি, আলুর মূল্য বৃদ্ধির কোন যৌক্তিক কারণ নেই। উৎপাদন আর চাহিদা অনুযায়ী আলুর সংকট হওয়ার কথা নয়। এটা নৈতিকতার অবক্ষয়। কোথাও গ্যাপ হচ্ছে যার জন্য আলুর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার।

আলোচনায় শ্যামবাজার আলু ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি বলেন, এ বছর দুই মাস আগেই কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বের হয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাপারীর দাম ঠিক করে দেয় এবং আমরা আলু বিক্রি করে শুধু কমিশন পাই।

সভায় এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবছর আলুগুলো কোল্ড স্টোরেজ থেকে কিছুদিন আগে বের হয়েছে। আমাদের কোল্ড স্টোরেজে এখনো প্রায় ৬০% আলু আছে। তার মধ্যে বীজ আলু আছে সর্বোচ্চ প্রায় ১৫%। যারা বেশি পরিমানে আলু মজুদ করে রেখেছে তারাই মূলত বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে আলুর মূল্য বৃদ্ধি করেছে। যারা কোল্ড স্টোরেজে আলু মজুদ করে রেখেছে তাদের ইতোমধ্যে ৩টি নোটিশ করেছি যেন তারা বিক্রয়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যদি বিক্রয়ের ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা অক্টোবর মাস থেকে নিজেরাই আলু বিক্রয়ের ব্যবস্থা করব। আমি মনে করি, অসাধু ব্যবসায়ীরা আলু মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আলু সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি করছে। এ অবস্থায় তাদেরকে পাকা রশিদের মাধ্যমে আলু ক্রয়-বিক্রয়ে বাধ্য করতে হবে।

সভায় লালমনিহাটের হযরত কোল্ড স্টোরেজ ও মুন্সীগঞ্জের কদম রসুল কোল্ড স্টোরেজের প্রতিনিধিগণ এবং রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজের সভাপতি বলেন, তাঁরা আলু সংরক্ষণের জন্য শুধু কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া পান। এ বিষয়ে তাঁরা সকলে একমত যে বর্তমানে কোল্ড স্টোরেজে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আলু মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্যবৃদ্ধি করছে। এক্ষেত্রে ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ কোল্ড স্টোরেজে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করে খতিয়ে দেখতে পারে কে কত পরিমাণে কতদিন ধরে কোল্ড স্টোরেজে আলু মজুদ করে রেখেছে। এছাড়াও ক্রয়-বিক্রয়ে পাকা রশিদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। তারা আরও বলেন, আমরা মনে করি আলুর বর্তমান মূল্য বৃদ্ধি অযৌত্তিক। এক্ষেত্রে সকলে সমন্বনিত হয়ে কাজ করলে আলুর মূল্য স্থিতিশীল রাখা যাবে। তাঁরা সভায় অধিদপ্তরকে আলুর মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের বিষয়েও বলেন।

আলোচনায় ক্যাবের মহাসচিব এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, আমরা ভোক্তাদের নিয়ে কাজ করি। ভোক্তা যেন সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পায় এটাই আমাদের দাবি। এফবিসিসিআই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে জেনে আমরা খুশি হয়েছি। ভোক্তা অধিদপ্তর এই ক্ষেত্রগুলোতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। ভোক্তা অধিদপ্তর কে তাদের কার্যক্রমের জন্য ধন্যবাদ জানাই। ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে সকল সংস্থার সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি বলেন, আলু আমদানিকৃত পণ্য নয়। তাই ডলার সংকট বা শুল্কুরোপের বিষয়টি আলুর মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এছাড়াও চাহিদা অনুযায়ী আলুর পর্যাপ্ত উৎপাদন হয়েছে বিধায় আলুর মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিক কোন কারণ নেই। আমি মনে করি, কোল্ড স্টোরেজে আলু ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পাকা রশিদ নিশ্চিতের বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করা হলে আলুর মূল্য স্থিতিশীল অবস্থায় আসবে।

আলোচনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: আলী আকবর বলেন, সভার আলোচনায় পরিলক্ষিত হয় যে, এবছর দেশে চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ঠ আলুর উৎপাদন হয়েছে। আমাদের যে তথ্য-উপাত্ত রয়েছে এখানেও তাই পাওয়া গেল। এই জায়গায় প্রতিনিয়ত জেলাগুলোতে আমাদের ফিল্ড অফিস কর্তৃক মনিটরিং করা হয়। তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে একটি সমন্বিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা করতে হবে যেন আগামীতে এভাবে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি না পায়।

সভায় বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, এবছর আলুর মূল্য অস্বাভাবিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে যা প্রতি কেজি ৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। ১৭ মার্চের পর আমরা লক্ষ্য করেছি কোল্ড স্টোরেজে আলু আসা কমতে শুরু করেছে। এবছর আলুর উৎপাদন কম হলেও চাহিদা অনুযায়ী তা পর্যাপ্ত রয়েছে এবং আলুর কোন সংকট নেই। আমরা মনে করি, ভোক্তা বা খুচরা পর্যায়ে আলুর মূল্য ৩৬ টাকার উপর হওয়া উচিত নয়। আপনারা কোল্ড স্টোরেজ মনিটরিং করেন সেখানে তথ্য পাবেন কারা কবে আলু সংরক্ষণ করছে এবং কবে কি পরিমাণ আলু বিক্রয়ের জন্য বের করেছে। যারা অসাধু ব্যবসায়ী তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তর যে ব্যবস্থা নিবে আমরা সেক্ষেত্রে সবসময় অধিদপ্তরের পাশে থাকব।

মহাপরিচালক বলেন, আলোচনায় উঠে এসেছে অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে আলুর মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। আলু যে পরিমাণে উৎপাদন হয়েছে এবং চাহিদা যে পরিমাণে রয়েছে তা পর্যাপ্ত বিধায় আলুর মূল্য বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা নেই। আলুর কোন ঘাটতি নেই। কোল্ড স্টোরেজে যে পরিমাণ মজুদ আছে তা আগামী ডিসেম্বরে নতুন আলু আসার পূর্ব পর্যন্ত যথেষ্ট। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ক্রয়-বিক্রয়ে বাধ্যতামূলক পাকা রশিদ রাখবেন এবং ন্যায্য দামে সঠিকভাবে সঠিক পণ্য বিক্রয় করবেন।

মহাপরিচালক সভায় পরিশেষে বলেন, আজকের সভার আলোচনায় প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ সরকারের নিকট তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, আলু সংরক্ষণে জন্য ব্যবহৃত কোল্ড স্টোরেজগুলোর মধ্যে যেগুলো তালিকাভুক্ত নয় সেগুলো যেন তালিকাভুক্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আমরা চাই এই ক্ষেত্রটা একটা শৃঙ্খলায় আসুক। আগামীকাল থেকে অধিদপ্তর কর্তৃক সারা দেশে বিশেষ করে শ্যামবাজার ও খাতুনগঞ্জে আলুর ক্রয়-বিক্রয়ে পাকা ভাউচার নিশ্চিতে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। মনিটরিং এ ক্রয়-বিক্রয়ে পাকা ভাউচার না পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মহাপরিচালক বলেন, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সমন্বিত মনিটরিং টিম গঠন করে যেন কোল্ড স্টোরেজগুলো মনিটরিং করা হয় তার সুপারিশ করা হবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হলে শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে ব্যবসা করতে হবে। এই সেক্টেরে স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, মিডিয়া আমাদের সমাজের দর্পণ। আলুর অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আপনারা নিউজ করেছেন বলেই তার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরে এই সেক্টরে কাজ করতে পারছি। আপনাদের অনুসন্ধানী রিপোর্ট আমাদের কাজে সহযোগিতা করছে। মহাপরিচালক সভা শেষে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দকে বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তাঁদের নিউজের জন্য বাজার যেন অস্থিতিশীল না হয় সে বিষয়ে সচেতন হওয়ারও আহবান জানান।

আলোচনা শেষে মহাপরিচালক আলুর মূল্য যেন বৃদ্ধি না পায় এবং সরবরাহ যেন স্বাভাবিক থাকে সে লক্ষ্যে সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *