যুক্তরাষ্ট্র কখনো যাইনি, ভবিষ্যতেও যাব না —-বিদায়ী প্রধান বিচারপতি

Uncategorized আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে বিচলিত নন বলে মন্তব্য করেছেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সোমবার সুপ্রিমকোর্টে শেষ কর্মদিবস পালন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে, কারো অনুকম্পায় নয়। স্বাধীনতার সময় যারা বিরোধিতা করেছিল, তারাই এখন বিরোধিতা করছে।


বিজ্ঞাপন

তাই এই ভিসানীতিতে আমরা বিচলিত নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো যুক্তরাষ্ট্র যাইনি, ভবিষ্যতেও যাব না। বিদায়ী প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বিচার বিভাগের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছি। কখনো নিজের কিংবা পরিবারের কথা ভাবিনি। মামলার জট নিরসনে সারা দেশের বিচারকদের উৎসাহিত করেছি।

বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার জন্য সারা দেশের আদালত অঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করেছি। মেডিয়েশনের মাধ্যমে মামলাজট কমাতে সুপ্রিমকোর্টে মেডিয়েশন সেন্টার স্থাপন করেছি। তিনি আরও বলেন, নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি একজন ডায়নামিক ব্যক্তিত্ব। আশা করি তিনি বিচার বিভাগকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করবেন।

এ সময় নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও আপিল বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত ২৪ মে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সহায়তার লক্ষ্যে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন।

এরপর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে গত শুক্রবার থেকে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে বর্তমান এবং প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত হলে ভবিষ্যতে অন্যদের ওপরও এ নীতির অধীনে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। (তথ্য সূত্র ও ছবি : গুড নিউজ)


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *