নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ২,৫৫,০০০ (দুই লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে।

গতরাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আচারবুনিয়া নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি’র চোরাচালান প্রতিরোধী আভিযানিকদল উল্লেখিত এলাকায় গিয়ে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়ীবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
আনুমানিক রাত ১০ টার সময় বিজিবি টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে প্লাস্টিকের বস্তা কাঁধে নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে সীমান্তের শূণ্যলাইন অতিক্রম করে আচারবুনিয়া বেড়ীবাঁধ এলাকায় লবণের মাঠের দিকে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে ।
বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই উক্ত ব্যক্তিরা তাদের কাঁধে থাকা বস্তাগুলো ফেলে দ্রুত পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে ফেলে যাওয়া ২টি বস্তার ভেতর থেকে ২,৫৫,০০০ (দুই লাখ পঞ্চান্ন হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় ২৩৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।