নড়াইল জেলা ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত বিকাশ প্রতারক।
মো: রফিকুল ইসলাম (নড়াইল) : নড়াইলে প্রতারণা করে বিকাশে টাকা আত্মসাৎ মামলায় ১ (এক) জনকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলা ডিবি পুলিশের একটি টিম । আজ মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর, নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা খাতুন এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) তারেক আল মেহেদীর তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) মো: ফিরোজ আহম্মেদ সংগীয় ফোর্স ও মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের সহায়তায় পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার বন্দর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঠবাড়িয়া থানার দাউদখালি গ্রামের জনৈক হযরত আলী এর ছেলে আমির হোসেন (৫২)কে গ্রেফতার করে।
প্রতারক আমির হোসেন (৫২) চলতি মাসের ১ তারিখে নড়াইল সদর থানার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করে বিকাশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলে, “গতকাল আপনার একাউন্টে অতিরিক্ত টাকা ঢুকে গেছে। আপনার বিকাশ একাউন্ট চেক করলে বুঝতে পারবেন। আপনার বিকাশ একাউন্টের বিরুদ্ধে কমপ্লেইন দেওয়ায় আপনার একাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আপনার একাউন্টটি পুনরায় চালু করতে চাইলে আপনার বিকাশ নাম্বারে ১৮,৫০০ টাকা বিকাশ করতে হবে।” তিনি বিকাশ করতে রাজি হয় না। পরবর্তীতে একটি মেসেজ আসে যে, আপনার বিকাশ একাউন্টটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী তার বিকাশ একাউন্টে ১৮,৫০০ টাকা বিকাশ করে ।
প্রতারক তাকে বলে, “আপনার মোবাইলে বিকাশের ওটিপি যাবে, আমাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।” প্রতারক কৌশলে তার কাছ থেকে বিকাশের পিন কোডটি নিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগী দেখেন, তার বিকাশ একাউন্ট থেকে সব টাকা চলে গেছে ।
প্রতারক আমির হোসেন (৫২) একইভাবে নড়াইল সদর থানার জনৈক মো: মাসুদুল হাসান ব্যক্তির কাছ থেকে ২২,০৫০ (বাইশ হাজার পঞ্চাশ) টাকা বিকাশের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে নেয়।
এসব ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করলে, উক্ত মামলার সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিবি পুলিশের দক্ষতায় আসামী আমির হোসেন (৫২)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নড়াইল জেলা ডিবি পুলিশের অভিযানিক টিমের সদস্যরা ।
আসামী আমির হোসেন (৫২) আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। আসামির সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য নড়াইল জেলা ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।