বিদেশি প্রভুরা কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারবেনা ——কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাছিম

Uncategorized জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। এরা গণতন্ত্রের শত্রু। এ গোষ্ঠী দেশের মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করতে চায়।এরা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংস করতে চায়। বিএনপি বিদেশি প্রভুদের আশায় বসে আছে। বিদেশি প্রভুরা কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারবেনা। ক্ষমতা যাওয়ার একমাত্র পথ হলো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে জয়লাভ করা। স্বৈরাচারী কায়দায় আর কেউ বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসতে পারবে না।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার  ১২ অক্টোবর, দুপুরে মাদারীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার বিবরণ জনগণের মাঝে পৌছে দেয়া এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের তৃণমূল প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে দিক নির্দেশনা মূলক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আমাদের কারো দ্বারে যেতে হয় না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ভিক্ষুকদের কোন মর্যাদা নেই। তার কন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে রোল মডেল। করোনা মহামারী, ইউক্রেন- রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব বিপদগ্রস্ত ছিল।কেউ এর থেকে থেকে রক্ষা পায়নি। মূল্যস্ফীতির কারণে সারা বিশ্বের অবস্থা খারাপ। আমাদের দেশও তার বাহিরে নয়। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছি।

নাছিম বলেন, আজকে আমরা সক্ষমতার প্রতীক হিসেবে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। এই সেতু হওয়াতেই শুধু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এর সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে না, সারা দেশের মানুষ এর সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। আমাদের শত বছরের কষ্ট দূর করতে শেখ হাসিনা সকল চক্রান্ত মোকাবেলা করে চক্রান্তকারীদের মুখে চুনকালি মেখে দিয়ে দৃঢ়চিত্তে নিজস্ব অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু তৈরি করেছেন। অনেকেই শুরুতে অনেক কথা বললেও তিনি এটি করে দেখিয়েছেন। পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। আজ আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা এখন তার সুফল পাচ্ছি।পদ্মা সেতুর কারণে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাবে।

বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দীন নাসিম।

 

তিনি বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা মেনে নেয়া যায় না। আমরা সব সময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। আমরা সন্ত্রাসকে কখনোই প্রশ্রয় দেই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। যুদ্ধ কখনো মঙ্গল বয়ে আনে না। তিনি বলেছেন এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধের কারণে জিনিসের দাম বেড়েছে। যে যুদ্ধ কল্যাণ আনে না তা বন্ধ করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে এই যুদ্ধবন্ধে এগিয়ে এসে অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের স্যাংশনের ভয় দেখায় তাদের মাটিতে দাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা যুদ্ধ থামাতে বলে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা আজ বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন। জাতির পিতা শুধু বাংলাদেশের নির্যাতিত নেতা ছিলেন না, তিনি সারা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের নেতা ছিলেন। বিশ্বের অনেক দেশ তাকে দেখে মুক্তি পাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।জাতির পিতা যেভাবে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন বিশ্বের অনেক নেতাই তাকে দেখে শিখেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট সকল দেশ বিরোধী অপশক্তি একত্রিত হয়ে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে।এই হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামাত জড়িত। এরা কখনোই দেশের মঙ্গল চায়নি। এরা দেশের বন্ধু হতে পারেনা।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপি যদি মনে করে তারা অপকর্ম করবে আর আমরা তা মেনে নিব তাহলে তারা ভুল ভাবছে। বঙ্গবন্ধু কখনো দেশ বিরোধীদের সাথে আপোষ করেননি। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তার কন্যাও দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও দেশদ্রোহীদের সাথে আপোষ করেননি, করবেনও না।যারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেয় তারা কখনো দেশ প্রেমিক হতে পারে না। আওয়ামী লীগ কখনোই তাদের সাথে নেই। বাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। এরা মানুষকে কষ্ট দিয়ে নিজেদের ফায়দা লুটতে চায় ও পকেট ভারি করতে চায়। এদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

মাদারীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী চোকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *