নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ শনিবার ১৪ অক্টোবর, সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)-এ কৃষিজ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি খাতের সদিচ্ছা নিয়ে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়, এ তথ্য নিশ্চিত করেছেনজাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুখপাত্র এবং উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আতিয়া সুলতানা।
ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেনসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালকবৃন্দ, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকবৃন্দসহ ইডেন মহিলা কলেজ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
আজ‘বেসরকারি খাতের সদিচ্ছার অভাবই কৃষিজ পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ’শীর্ষক ১ম সেমিফাইনাল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ইডেন মহিলা কলেজ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ-এর বিতার্কিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান, এমপি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসিকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও তিনি ইডেন মহিলা কলেজ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক অভিযানসহ সার্বিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, দুই দলের বিতার্কিকদের বক্তব্য শুনে আমি অভিভূত। তিনি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ৩টি মেয়াদে কার্যক্রম গ্রহণ করার কথা বলেন। এগুলো হলো; স্বল্প মেয়াদি হিসেবে বাজার অস্থিতিশীল হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, মধ্য মেয়াদি হিসেবে সাধারণত যেসকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায় সেসকল পণ্যের মজুদ বাড়ানোর প্রয়োজন এবং দীর্ঘ মেয়াদি হিসেবে দেশে এসকল পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাদ অর্থনীতি হিসেবে বাজারে এসকল সমস্যা থাকবে তবে আমাদের সকলকে সম্মিলিত ভাবে মোকাবিলা করতে হবে।তিনি প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত এ বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সচেতন হবে ভোক্তা এবং সুরক্ষিত হবে ভোক্তার অধিকার এ আশাবাদ ব্যক্ত করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ব্যস্ততার মধ্যেও অনুষ্ঠানে সময় দেয়ার জন্য অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিকে, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আয়োজনের জন্য ডিবেট ফর ডেমোক্রেসিকে এবং স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের বক্তব্য শুনে অভিভূত হয়ে বলেন, আমরা চমৎকার ও প্রাণবন্ত একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা উপভোগ করলাম এবং আমার মতে আজ এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় দুই দলই বিজয়ী হয়েছে।
মহাপরিচালক বর্তমান সমাজে বিদ্যমান ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কাজের স্বরূপ তুলে ধরে তা প্রতিরোধে অধিদপ্তরের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে সকলকে অবগত করেন।তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নসহ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও দেশে উৎপাদিত কৃষি পণ্য ডাব, আলু, পেঁয়াজ ইত্যাদির অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি কখনো কাম্য নয়।
মহাপরিচালক জানান, সম্প্রতি আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক এসকল পণ্যের মূল্য নির্ধারন করা হয়। অধিদপ্তরের নিয়মিত বাজার তদারকির পাশাপাশি আলুর সরকার নির্ধারিত মূল্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুন্সীগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর ও নীলফামারীতে সরেজমিনে তদারকি করেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অধিদপ্তর কর্তৃক কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে আলুর সরকার নির্ধারিত মূল্য ২৭ টাকায় বিভিন্ন সুপারশপ ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের আলু সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়।
মহাপরিচালক বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছি কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা। এই সচেতনতার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা। তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ এর অংশ হিসেবে অধিদপ্তর যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ও ভোক্তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছে। অধিদপ্তরের নিজস্ব ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, CCMS(Consumer Complaint Management System) এর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করা এই পদক্ষেপেরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সহজে স্বল্প সময়ে অধিকসংখ্যক ভোক্তাকে সচেতন করা যাচ্ছে।
তিনি ক্ষেত্র বিশেষে সময়ে সময়ে দেশে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের পাশাপাশি আমদানিকৃত পণ্যের যৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদানসহ পণ্যের অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক ও খামারীদের স্বার্থ বিবেচনায় সময়ে সময়ে কিছু পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনায় আবার সে সকল পণ্য আমদানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। দেশের বাজার ব্যবস্থার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার পলিসি গ্রহণ করে।
মহাপরিচালক বলেন, কৃষিজ পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি ব্যবসায়ীদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান এবং সকলের সমন্বিত চেষ্টায় ভোক্তার স্বস্তি মিলবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আলু, পেঁয়াজ, ডিম, মাছ, মাংস,শাকসবজির দাম বেড়েই চলছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তানের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় সেসকল দেশে উৎপাদিত কৃষিজ পণ্যের সাথে বাংলাদেশের দামের পার্থক্য অনেক। যে সকল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে দেশে উৎপাদিত কৃষিজ পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তা খুঁজে বের করে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, কৃষকেরা যে আলু ১২ থেকে ১৩ টাকায় কেজি প্রতি বিক্রি করলো, সেই আলু কৃষকদের এখন ৪০-৫০ টাকায় কিনে খেতে হচ্ছে। আলুর দাম কিভাবে, কাদের কারসাজিতে খুচরা বাজারে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা জরুরি। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে স্বল্পপরিসরে আলু আমদানি করা যেতে পারে। আর ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রান্তিক খামারিদের কর্পোরেট কোম্পানীগুলোর কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের ফাঁদ থেকে বাঁচাতে হবে। তা না হলে ক্ষুদ্র, মাঝারী খামারিরা পুঁজি হারিয়ে পথে বসবে। তাই খামারিদের বাঁচিয়ে ডিম, ব্রয়লার মুরগির ন্যায্য দাম নিশ্চিতে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যে আলু, পেঁয়াজ, ডিম, মাংস যা দেশে উৎপাদন হচ্ছে এবং চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনের সক্ষমতাও রয়েছে সেগুলির দাম ভারত, পাকিস্তান থেকে কেন বেশি হচ্ছে? কোন মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে দেশে উৎপাদিত কৃষিজ পণ্যের দাম বাড়ছে, তা খুঁজে বের করে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন টেনশন তৈরি করেছে। এতে আমাদের মূল্যস্ফীতি আরো বৃদ্ধি পেয়ে দ্রব্যমূল্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ারও শঙ্কা রয়েছে। তখন আমাদের বিদ্যুৎ খাতের উপর প্রভাব পড়লে লোডশেডিং বাড়তে পারে ।কৃষিজ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ৭ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন;
উৎপাদক পর্যায়ে সমবায় শক্তি জোরদার করা। তাহলে উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে একই সাথে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবে না। তখন তারা নিজেরাই নিজেদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে সরবরাহ করতে পারবে। পণ্য উৎপাদন, পরিবহন ও বিপনণ ব্যবস্থার ওপর স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী বাড়িয়ে সাপ্লাই চেইন শক্তিশালী করা। কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রাপ্তির লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বদ্ধ করা। পণ্য পরিবহণে পথে পথে চাঁদা প্রদান বন্ধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কেউ চাঁদাবাজিতে সম্পৃক্ত হলে দল থেকে তাকে বহিস্কার করা। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, কোল্ড স্টোরেজ, মধ্যস্বত্বভোগীসহ যাদের কারণে কৃষিজ পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সেইসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে প্রয়োজন সাপেক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণে কৃষিজ পণ্যের আমদানির ব্যবস্থা করা।
কৃষি শ্রমিকের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নারী কৃষি শ্রমিকরা যেন মজুরী বৈষম্যের শিকার না হয় তা নিশ্চিত করা।
আজ “বেসরকারি খাতের সদিচ্ছার অভাবই কৃষিজ পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ” শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ইডেন মহিলা কলেজ সরকারি দল হিসেবে বিষয়ের পক্ষে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ বিরোধী দল হিসেবে বিষয়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিতর্ক করেন।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন,সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা ও সাংবাদিক কাবেরী মৈত্রেয়।
“বেসরকারি খাতের সদিচ্ছার অভাবই কৃষিজ পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ” শীর্ষক ছায়া সংসদে সরকারি দল হিসেবে বিষয়ের পক্ষের দল ইডেন মহিলা কলেজ, বেসরকারি দল হিসেবে বিষয়ের বিপক্ষের দল ঢাকা মেডিকেল কলেজকে পরাজিত করে আজকের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়।প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।