ধর্ষণের প্রতিকি ছবি ।
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় ট্রেনযাত্রী এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। নওয়াপাড়া স্টেশন এলাকায় অবস্থিত বৌ-বাজারে এক বসতবাড়িতে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। অভয়নগর থানা পুলিশ ওই ধর্ষককে আটক করেছে। ধর্ষক ওই যুবকের নাম বাবু ম্যোল্যা ওরফে র্যাব বাবু। সে অভয়নগর উপজেলার বুইকরা মালেকের চাতাল এলাকার মৃত মুজিবর রহমানের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী বাগেরহাট সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামে তার নানা বাড়ি বসবাস করে। তার পিতা নেই। মা অন্যত্র বিয়ে করে দর্শণা এলাকায় থাকেন। ওই কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার নানা বাড়ির লোকজন বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলো। এতে সে নানা বাড়ি থেকে পালিয়ে মঙ্গলবার রাতে খুলনা থেকে ট্রেনে চড়ে মায়ের কাছে দর্শণা যাচ্ছিল। ট্রেনের মধ্যে বাদাম বিক্রেতা বাবু মোল্যার সাথে পরিচয় হয়।
সে ঘটনা শুনে ভাই পরিচয়ে তাকে সাহায্য করবে বলে প্রতিশ্রতি দেয়। ধর্ষণেের শিকার ওই কিশোরী সরল বিশ্বাসে ওই বাদাম বিক্রতার সাথে নওয়াপাড়া স্টেশনে নামে। বাবু মোল্যা মেয়েটিকে বৌ-বাজার এলাকায় এক দু:সম্পর্কের খালা বাড়িতে নিয়ে উঠে। সেখানে তাকে ঘুমের ঔষধ খাওয়ানো হয়।
এর পর বাবু মোল্যা তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। পরে অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে বাবু মোল্যা সটকে পড়ে। মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে সে হাসপাতালের ডাক্তারকে ঘটনা খুলে বলে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেয়েটিকে চিকিৎসা দিয়ে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখান থেকে মেয়েটিকে নানা বাড়ির অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় বাবু মোল্যাকে আসামী করে গত বুধবার ১০ অক্টোবর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯/১ ধারায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ১০। পুলিশ ধর্ষক বাবু মোল্যা ওরফে র্যাব বাবু কে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্য এবিএম মেহেদী মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।