সাইবার আইন জনগণের মুক্তচিন্তার অধিকার বঞ্চিত করছে ———জিএম কাদের এমপি

Uncategorized আইন ও আদালত চট্টগ্রাম জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সারাদেশ

বক্তব্য রাখছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিনিধি  :  চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি। জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, সরকার সাইবার আইন করে জনগণকে মুক্তচিন্তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। শুধু তাই নয়, সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে ও গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। গতকাল  শনিবার ১৪ অক্টোবর৷, বিকেলে একটি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের জবাবদিহিমূলক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। যেকোনো ধরণের সমালোচনা করলে রাষ্ট্র বিরোধী কথা হলে সাইবার আইনে মামলা করা হচ্ছে। সমালোচনা নিতে না পেরে আইন দিয়ে মুখ বন্ধ করা হচ্ছে। সরকারের লুটপাটের কারণে দেশে রিজার্ভ সংকটে পড়েছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশের রিজার্ভ খারাপের থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

দশ বিলিয়ন কম হলে কোন দেশের এলসি হবে না। দেশের ব্যাংকগুলো খালি করা হয়েছে। দুদক দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে ৷ ছোট কর্মকর্তাদের দুদক দিয়ে হয়রানি করা হয়। কিন্তু বড় বড় দুর্নীতিবাজদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

দেশে প্রথম আওয়ামী লীগ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। পরে বিএনপি চারবার চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আওয়ামী লীগ ইশতেহারের ধারে কাছে যায়নি। সবক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ একটি সুবিধাবাদি দল তৈরি করেছে।

জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের বি টিম হতে রাজনীতি করেনি উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে যখনই যে ক্ষমতায় গেছে, জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। এই সরকারও জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু কেউই জনগণের হৃদয় থেকে জাতীয় পার্টিকে, লাঙ্গল প্রতীককে মুছে ফেলতে পারেনি। বরং আজকে সেই লাঙ্গল প্রতীক, জাতীয় পার্টি আরও উজ্জীবিত হয়েছে, আরও শক্তিশালী হয়েছে। ক্ষমতার জন্য জাতীয় পার্টি লড়াই করছে না। হয়তো ভবিষ্যতে জনগণের আশা পূরণ করতে পারি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *