যশোর সংবাদদাতা : মিথ্যা তথ্য ও ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে সম্মানহানীর অভিযোগে যশোর সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন প্রেসক্লাব বসুন্দিয়ার সভাপতি সাংবাদিক আবু তাহের। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন।
এদিকে মামলার খবর পেয়ে এদিন বিকেলে বাদী সাংবাদিক আবু তাহেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্বশস্ত্র অবস্থায় তার শ্বশুর বাড়িতে হামলা করেছে ইমরান ও তার সহযোগিরা। পরে ঘটনাস্থলে বসুন্দিয়া ক্যাম্পের পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে থেকে আবু তাহের মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি থানায় আরো একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
আসামি ইমরান হোসেন সদর উপজেলার কেফায়েতনগর গ্রামের আলেক বিশ্বাসের ছেলে এবং বসুন্দিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর। ভুক্তভোগী আবু তাহের জানিয়েছেন, দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকায় তিনি বসুন্দিয়া প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে কাজ করে আসছিলেন।
ইমরানের নানা অপরাধ সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়ায় এবং নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ না করার কারণে ক্ষীপ্ত হয়ে এবং ইউপি সদস্য হিসেবে দাম্ভিকতার কারণে প্রায় সময় আবু তাহেরকে গালিগালাজ এবং খুন জখম করতে ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে ইমরান হোসেন।
তারই অংশ হিসেবে কয়েকদিন আগে লোহার রড নিয়ে আবু তাহেরকে খুন করবে বলে প্রকাশ্যে এলাকার গ্রাম, বাজার ও রাস্তায় মহড়া দিয়ে আসছিল।শুধু তাই নয় গত ৮ অক্টোবর ইমরান হোসেনের নিজস্ব ফেসবুক (https://www.facebook.com/imranhossain4631) নামক আইডি থেকে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে নানা ধরণের কুৎসা রটিয়ে পোস্ট করে। এছাড়া ইমরানের পোস্টেড কন্টেন্ট প্রিন্ট আউট করে বসুন্দিয়া মোড় বাজারে ছড়াইয়া দেয়।
বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল যশোর আদালতে মামলা করেছেন আবু তাহের। মামলাটি ডিবি পুলিশের উপর দায়িত্ব দিয়েছে আদালত। এই খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিকেল ৪টার দিকে আবু তাহেরের শ্বশুর বাড়িতে স্বশস্ত্র অবস্থায় ইমরান হোসেন, তার চাচা আব্দুল জলিল ও তার ভাইসহ বেশ কয়েকজন হামলা করে। এসময় জীবন বাঁচাতে আবু তাহের জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করেন।
এরপরে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই সাইফুল ইসলামসহ ৮/১০ জন পুলিশ সদস্য আবু তাহেরের শ্বশুর বাড়ি হাজির হন। কিন্তু ধুরন্দর ইমরান ও তার
সহযোগিরা পুলিশের সামনেও আবু তাহেরকে মারপিট করতে উদ্যত হন। ফলে এদিন রাতেই কোতোয়ালি থানায় আবু তাহের আরো একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আবু তাহের পরিবারসহ এখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।
তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এই ব্যাপারে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই কামরুজ্জামান বলেছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল আবু তাহেরের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।