ইনডেক্স ধারীদের আলাদা গন বিজ্ঞপ্তি চেয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান 

Uncategorized আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ

এনটিআরসিএর সামনে মানববন্ধনে শিক্ষকরা।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে সনদপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী (নিবন্ধিত) শিক্ষকরা বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতে শিক্ষা সচিব বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। পরে এনটিআরসিএর সামনে মানববন্ধনে মিলিত হন শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আলাদা গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বদলি প্রত্যাশি লক্ষাধিক শিক্ষকদের মধ্যে বেশিরভাগই নিজ জেলা থেকে ৩০০-৮০০ কিলোমিটার দূরে শিক্ষকতা করছেন।

অনেকের বৃদ্ধ বাবা মা অসহায়ভাবে বাড়িতে একাকি থাকেন। অথচ তাদের দেখার কেউ নেই। নিকট আত্মীয়-স্বজন মারা গেলেও শেষ দেখার সুযোগ থাকে না।
সিলেটে কর্মরত কুড়িগ্রামের এক শিক্ষকের মা বাবা দুজনেই ক্যান্সার আক্রান্ত।

বদলি না থাকায় তিনি দিশেহারা। পার্বত্য জেলায় কর্মরত নারায়ণগঞ্জের নারী শিক্ষক নাজমা খাতুনের সংসার ভাঙ্গার মতো অবস্থা বলে জানানা ওই শিক্ষক।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বদলি প্রথা চালুর দাবিতে মহামান্য উচ্চ আদালতে একটি রিট ২৭৯/২০১৯ দাখিল করি এবং আদালত শিক্ষকদের পক্ষে রায় প্রদান করে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর। ২০২২ সালে এনটিআরসিএ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।

মহামান্য হাইকোর্ট রায়ে উল্লেখ করেছেন, ‘দরখাস্তকারীগণ নিজ নিজ বাড়ি-ঘর থেকে অনেক দূরে বিভিন্ন জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কর্মরত আছেন। চাকরিরত এমপিওভুক্ত ইন্ডেক্সধারি শিক্ষকগণ বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থল পরিবর্তন করে ‘পদ খালি থাকা সাপেক্ষে’ নিজস্ব পছন্দের প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে আইনত অধিকারী। ’

বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত ইন্ডেক্সধারি শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন অথবা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন তথা বদলি প্রথা চালুর জন্য নীতিমালা প্রণয়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সচিব বরাবর অনুরোধ জানান শিক্ষকরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *