নিজস্ব প্রতিবেদক : বাগেরহাটের মোংলায় সাংবাদিক অতনু চৌধুরী (রাজু) নামে এক সাংবাদিক ও তার পরিবার হামলার শিকার ও থানায় লিখিত অভিযোগ। আহত সাংবাদিক জজাতীয় দৈনিক খবরের আলো পত্রিকা ও খুলনার খবর অনলাইন পত্রিকার বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)- এর খুলনা বিভাগীয় কমিটির সহকারী সম্পাদক ও বাগেরহাট জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন।
বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব দওেরমেঠ এলাকায় সাংবাদিক’সহ তার পরিবারের উপর হামলা ও মারপিটের ও প্রাণনাশের ঘটনার বাদী হয়ে মোংলা থানায় গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অতনু চৌধুরী রাজু (২৬)নামে এক স্থানীয় সাংবাদিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নে ২নং পূর্ব দওেরমেঠ এলাকায় অতনু চৌধুরী (রাজু)নামের স্থানীয় এক সাংবাদিক ও একই এলাকার নুপুর হালদার ও স্বামী তাপস হালদারের দোকান পেছনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্মিলিত ব্যানার টা নিয়ে তাতে প্রসাব করাতে সাংবাদিক অতনু চৌধুরী (রাজু) তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা করেন।
এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার ( ১৭ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৭:৩০ মিনিটের দিকে সাংবাদিক অতনু চৌধুরী রাজু’র ছোট ভাই অরুপ চৌধুরী ও সোহাগ শেখ, নুপুর হালদারের দোকানের সামনে থেকে নিজ বাড়িতে আসার সময় নুপুর হালদারের দোকান থেকে বিভিন্ন পণ্য বাকি খাওয়ায় সোহাগ শেখ’কে তার দোকানের বাকি টাকা নেওয়ার জন্য অনেক গালিগালাজ করেন নুপুর হালদার এবং সোহাগ শেখ নুপুর হালদার কে বলেন আপনি মুরুব্বী মানুষ আপনার ভাষাটা সমাধান করবেন এরই প্রেক্ষাপটে নুপুর হালদারের স্বামী তাপস হালদার সোহাগ শেখ’কে’ অরূপ চৌধুরী কে এলোপাথারি ও কিল ঘুসি দিয়ে নীলা পোলা জখন করেন এবং সে মারামারি সাংবাদিক অতনু চৌধুরী (রাজু) ঠেকাতে গেলে তাকেও এলোপাথাড়ি দিয়ে নীলা পোলা জখন করেন তাপস হালদার (৫০) নুপুর হালদার (৪৮) চিন্ময় হালদার (২৮) ও তন্ময় হালদার (৩২) বিবাদীগন সাংবাদিক অতনু চৌধুরী রাজু সহ তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি সাংবাদিক অতনু চৌধুরী (রাজু) নিম্ন স্বাক্ষরকারী হাজির হইয়া আপনার কাছে অভিযোগ করিতেছি যে, উপরোক্ত বিবাদীগন ও দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক হইতেছে। বিবাদীর দোকানের পেছনে জাতির জনক বন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার টানিয়ে তাতে প্রসাব করাতে আমি তাকে নিষেধ করিলে সেই থেকে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া রহিয়াছে।
তারই প্রেক্ষিতে গতকাল ১৭ অক্টোবর আনুমানিক সাড়ে ৭ টার সময় আমার ছোট ভাই অরুপ চৌধুরীকে বিবাদীগণ অকারণে মারপিট করিতে লাগলে আমি ঘটনা শুনিয়া তাকে উদ্ধার করিতে গেলে বিবাদীগন আমাকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে নীতা ফুলা জখম করেন।
গত ১৮ অক্টোবর, আনুমানিক সাড়ে ৬ টার সময় উক্ত ১ নং বিবাদীর দোকানে তার পাওনা টাকা দিতে গেলে ভিকটিম অরুপ চৌধুরীকে ১ ও ৩ নং বিবাদী পুনরায় মারপিট করিয়া নীলা ফুল জখম করেন। পরবর্তী অরূপ চৌধুরী’কে স্থানীয় লোকজন গোবিন্দ বিশ্বাস, পিতা- মৃত পুলিন বিশ্বাস, অনুপ বিশ্বাস, পিতা মৃত: অমূল্য বিশ্বাস, এবং প্রতাপ বিশ্বাস, পিতা- অজ্ঞাত, তাকে উদ্ধার করিয়া বাড়িতে নিয়ে আসেন।
আসার সময় বিবাদীগণ নানা ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে যে, আমাদের সুযোগ পাইলে মারপিট, হত্যা, খুন জখম করিবে এবং মাদক বা ধর্ষনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করিবে। উক্ত বিষয়ে অনেক স্বাক্ষী প্রমান আছে। এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হইয়া ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আপনার স্মরনাপন্ন হইলাম। গত বুধবার (১৮অক্টোবর) মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় এক সাংবাদিক।
এ ব্যাপারে বিবাদী নুপুর হালদারের স্বামী তাপস হালদার ও তাদের ছেলেদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায় তার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সামসুদ্দিন বলেন,এই বিষয়টি আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেরেছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।