অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি ; অভয়নগরে বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। ভৈরব নদীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা নিয়ে আসতে দেখা যায়। এরপর নিয়ম মেনে নদীতে বির্সজন দেওয়া হয় সকল প্রতিমাকে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের আসুরিক প্রবৃত্তি কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই মূলত বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য বিষয়। এ প্রবৃত্তিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
চন্ডীপাঠ, বোধন ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ দেবী দূর্গার আগমনে গত ২০ অক্টোবর থেকে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হয়। পরবর্তী টানা ৫ দিন যশোর সহ একযোগে দেশব্যাপী পূজামন্ডপ গুলোতে পূজা-অর্চনার মধ্যদিয়ে ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। ২৪ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তা শেষ করা হয়।
এবার দেবী দুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যালোকে (পৃথিবী) আসেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে স্বর্গে বিদায় নেন নৌকায় চড়ে। যার ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে জানা সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যাক্তিরা।
সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে গেলেন স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে। পরের বছর শরতে আবার তিনি আসবেন এই ধরণীতে যা তার বাবার গৃহ বলে জানা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ঢাকের বাদ্য আর উলু ধ্বনীর মধ্যে দিয়ে বিদায়ের করুণ ছায়ায় সারিবদ্ধভাবে একে একে সব ক’টি প্রতিমাকে অভয়নগরের ভৈরব নদীতে বিসর্জন দেয়া হয়।