নড়াইলে সেই চিংড়ি মাছে কীটনাশক পুশ করা ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতের ১০ হাজার টাকা জরিমানা

Uncategorized অন্যান্য অপরাধ অর্থনীতি আইন ও আদালত আন্তর্জাতিক খুলনা জাতীয় জীবন-যাপন জীবনী বানিজ্য সারাদেশ স্বাস্থ্য

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে চিংড়ি মাছে কীটনাশক পুশ করা সেই অবৈধ ব্যবসায়ীকে (২৯ অক্টোবর) রবিবার ভোক্তাদের সাথে
প্রতারনার দায়ে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন,ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জরিমানা। এসময় সহযোগী অন্নান্য অবৈধ ব্যবসায়ীদের না পেয়ে বাজার কমিটিকে জানান,এসকল অবৈধ ব্যবসায়ীরা বাজারে আসলে আমাদেরকে সাথে সাথে জানাবেন,বলে বাজার কমিটিকে হুশিয়ারী করে দেন। এদিকে,নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের রুখালী গ্রামের মশিয়ার রহমান বিশ্বাসসহ মির্জাপুরের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চিংড়ি মাছে কীটনাশক জেলি পুশ করে অসৎ উপায়ে প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা,এমন সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেও ব্যবস্থা নেয়নি কোন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মির্জাপুর বাজারের ভূমি অফিসের পিছনে গোপনে অসাধু ব্যবসায়ী রুখালী গ্রামের মশিয়ার বিশ্বাসসহ তার সহযোগী’রা চিংড়ি মাছে’র ওজন বাড়ানোর জন্য সিরিঞ্জ দিয়ে চিংড়ি মাছে মানব দেহে’র ক্ষতিকারক জেলিসহ বিভিন্ন অপদ্রব্য পুশ করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করছে। প্রথমত,ওজনে প্রতারণা,দ্বিতীয়ত দাম বেশি ও তৃতীয়ত মাছের গুণগত মান নিয়ে প্রতারিত করছে ক্রেতাদের সাথে। এতে ভয়ংকর ভাবে মানব দেহে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে জানান,কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ছাড়া ভেজাল চিংড়ি মাছ রপ্তানি হলে দেশের সুনাম নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকিতে পড়বে প্রতিযোগিতাপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিশ্ব বাজার। নড়াইল সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ সক্রিয় হয়ে পড়েছে চিংড়ি মাছে কীটনাশক অপদ্রব্য পুশ করা অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। সুকৌসলে প্রশাসনের নজঁর ফাকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ী রুখালী গ্রামের মশিয়ার বিশ্বাসসহ তার সহযোগী’রা। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়,সিরিঞ্জ ও সুঁচের মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি মাছে ক্ষতিকারক কীটনাশক জেলি,সাগুদানা,ফিটকেরি মিশ্রিত পানিতে ভেজানোসহ ভাতের মাড়ের মিশ্রণ ইনজেক্ট করে চিংড়ি মাছের ওজন ও সাইজ বৃদ্ধি করে বাজারজাত করে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। খুচরা ক্রেতা’রা স্থানীয় ঘের ও আড়ত থেকে চিংড়ি মাছ ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে মানব দেহের ক্ষতিকারক কীটনাশক অপদ্রব্য পুশ করে,চিংড়ি মাছের গ্রেড অনুসারে পুশকৃত ওই চিংড়ি চড়া দামে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে অর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে এসকল অসাধু ব্যবসায়ী’রা। এদিকে,বিদ্যমান মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন-২০২০ অনুযায়ী চিংড়ি মাছে মানব দেহের ক্ষতিকারক কীটনাশক অপদ্রব্য পুশ করার প্রমাণ পাওয়া গেলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ আট লাখ টাকা জরিমানা’র বিধান রয়েছে। তবে অতিরিক্ত লাভের আশায় রুখালী গ্রামের মশিয়ার বিশ্বাসসহ তার সহযোগী’রা মির্জাপুর ভূমি অফিসের পিছনে গোপনে চিংড়ি মাছে ক্ষতিকর জেলি পুশ করতে থাকলে সাংবাদিক’রা উপস্থিত হয়ে ভিডিও ধারন করতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে রুখালী গ্রামের অসৎ ব্যবসায়ী মশিয়ার বিশ্বাসসহ তার সহযোগী’রা সাংবাদিকদের ভিডিও ধারন করতে বাধাঁসহ অকার্থ ভাষা ব্যবহার করে জানায়,আমাদের কিছুই করতে পারবি না এবং যা পারিস করিস বলে হুমকি দিয়ে স্থান থেকে চলে আসতে সাংবাদিকদের বাধ্য করে। ঘটনার সত্যতা শিকার করে বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হিমায়েত হুসাইন ফারুক সাংবাদিকদের বলেন,অসাধু কিছু ব্যবসায়ীদের চিংড়ি মাছে মানব দেহে ক্ষতিকর কীটনাশক জেলি পুশ করা কোন ভাবে ঠেকানো যাচ্ছে না। চিংড়ি মাছে ক্ষতিকারক কীটনাশক অপদ্রব্য পুশ বন্ধে ওই এলাকা গুলোতে অভিযান পরিচালনা করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে নড়াইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইস এম বদরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন,চিংড়ি মাছে মানব দেহের ক্ষতিকর কীটনাশক জেলি পুশ করা জঘণ্য অপরাধ,
এমন অপরাধ কোন ভাবে মেনে নেয়া হবে না, অবশ্যই যে সকল ব্যবসায়ী’রা এই অপরাধের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *