নিজস্ব প্রতিবেদক : পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্মম হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি ডিএমপির প্ররক্ষা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাক আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২.৩০টায় বিমানযোগে ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের ডাকা সমাবেশ ডিউটি করাকালীন ইউবিএল ক্রসিং, পল্টন এলাকায় দলটির উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের হামলায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন মো. আব্দুর রাজ্জাক। সাথে সাথে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য শুরু থেকেই ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রেখেছেন এবং তাকে দেখতে তারা একাধিকবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শে নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত অ্যাপোলো হাসপাতালে যোগোযোগ করা হয়। উক্ত হাসপাতালের চিকিৎসক তার চিকিৎসার রিপোর্ট পর্যালোচনা ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধমে রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে তাকে দ্রুত ভারতে পাঠানোর পরামর্শ দেন। তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় আইজিপি মহোদয় ও ডিএমপি কমিশনার মহোদয়ের উদ্যোগে বহন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর সমাবেশের অনুমতি নিয়ে কাকরাইল, ফকিরাপুল, বিজয়নগরসহ আশপাশের এলাকায় বিএনপি আগুন দিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ও জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। তাদের অতর্কিত হামলায় নায়েক মো. আবদুর রাজ্জাকসহ শতাধিক পুলিশ সদস্য ও প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক আহত হন।