স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় গত বৃহস্পতিবার থেকে আলোচিত মডেল-অভিনেতা হিরো আলম বগুড়ার জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন। সেখানে তাকে অন্য আসামিদের থেকে আলাদা ভাবে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আজ রবিবার (১০ মার্চ) বগুড়ার জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, কারাগারে হিরো আলম ভাল ও সুস্থ আছেন।
তিনি আরও জানান, হিরো আলমকে সাধারণ হাজতিদের সঙ্গে ওয়ার্ডে রাখা হয়নি। তিনি ‘জনপ্রিয় ইউটিউব স্টার’ তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে ‘বিশেষ ব্যবস্থায়’ তাকে জেলের সেলে রাখা হয়েছে। কারাগারের সেলে থাকলেও হিরো আলম নিয়ম-কানুন মেনে চলছেন।
তিনি আরও জানান, হিরো আলমকে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কারাগারে আনা হয়। জেলের নিয়ম অনুযায়ী প্রথম দিন রাতের খাবার হিসেবে তাকে খিচুড়ি দেওয়া হয়েছিল। কারাগারের অন্য বন্দীদের মতো গতকাল শনিবার সকালে রুটি ও বুট, দুপুরে ভাত, ডাল ও সবজি এবং রাতে মাছ-ভাত খাওয়ানো হয়েছে তাকে।
এর আগে গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় হিরো আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শ্বশুর সাইফুল আলম খোকন তার মেয়ে সাবিহা আক্তার সুমিকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে হিরো আলমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন মামলা করেন।
এদিকে মামলায় খোকন অভিযোগ করেন, ২ লাখ টাকা যৌতক চেয়ে হিরো আলম তার মেয়েকে শহরতলির এরুলিয়ায় পালিপাড়ার বাড়িতে নির্যাতন করে আসছিলেন। মেয়ের ওপর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি তাকে এক লাখ টাকা যৌতুকও দেন।
কিন্তু তারপর আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে হিরো আলম তার মেয়েকে নির্যাতন করেই আসছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবারও তিনি তার মেয়েকে অমানষিক নির্যাতন করেন। এতে তার মেয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর পরে হিরো আলমকে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ শাহরিয়ারের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় হিরো আলমের পক্ষে আইনজীবী এস এম মাসুদার রহমান স্বপন তার জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু শুনানি শেষে জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।