দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সার কারখানা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোড়াশাল-পলাশ ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ নির্ধারিত মেয়াদের দুই মাস আগেই শেষ হয়েছে। চলতি মাসেই কারখানাটিতে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন কার্যক্রম।

দৈনিক ২ হাজার ৮০০ মেট্রিকটন এবং বছরে গড়ে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে কারখানাটিতে। যা দেশের মোট ইউরিয়া চাহিদার ৩৫ শতাংশ। পলাশ ও ঘোড়াশালের পুরনো দুটি কারখানায় যে পরিমাণ গ্যাস লাগত, একই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে নতুন কারখানায় আগের দুটি কারখানার চেয়ে বেশি ইউরিয়া উৎপাদন করা যাবে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হলো, সার উৎপাদনের পাশাপাশি বিদ্যুৎও উৎপাদন হবে এখানে। নতুন কারখানায় বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে দৈনিক ২৮ মেগাওয়াট। আর ৩২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি অত্যাধুনিক স্টিম গ্যাস জেনারেটর রয়েছে।
সব সময় কারখানার জন্য দুটি জেনারেটর ৫০ শতাংশ লোডে চলবে। তাই এই কারখানাটির ২টি স্টিম গ্যাস জেনারেটর ১০০ শতাংশ লোডে চালিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। (তথ্য সূত্র ও ছবি : ডিফেন্স রিসার্চ ফোরাম)