পর্যটন টানার লক্ষ্যে নাটোরের উত্তরা গণভবনের মূল নকশা পরিবর্তন করে নতুন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নাটোরের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা শারমিন পুতুল জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।
রিটে উত্তরা গণভবনের ঐতিহ্য রক্ষায় নতুন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি ভবনের ভেতর ও বাইরে টাঙানো এ প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড অপসারণ চাওয়া হয়েছে। উত্তরা গণভবনকে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে এ রিটে।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
রিটে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব, পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক, নাটোরের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী ফারজানা শারমিন পুতুল জানান, আবেদনটির ওপর আগামীকাল সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
গত ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘উত্তরা গণভবন ঐতিহ্যে কুঠারাঘাত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তরা গণভবনের ভেতর ও বাইরে নতুন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। ৪৪ দশমিক ৩৯ একর আয়তনের এ গণভবনে থ্রিডি সিনেপ্লেক্স, মোটেল, শপিং কমপ্লেক্স, সুইমিংপুল, কালভার্ট ও পাথওয়ে নির্মাণসহ বোটিং ও পুকুরপাড় বাঁধাই করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর নামে বিখ্যাত রাজা দয়ারাম রায়ের শাসনামল, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক এ স্থানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হলে কয়েকশ’ বছরের ঐতিহ্যের বুকে কুঠারাঘাত করা হবে বলে মন্তব্য করেছে স্থানীয় সুধীমহল।