৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী স্কোয়াড্রন লিডার (অব) সাদরুল আহমেদ খান।
বিশেষ প্রতিবেদন : আগামী ৭ জানুয়ারী ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে কুলাউড়া সদরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী স্কোয়াড্রন লীডার(অব) সাদরুল আহমেদ খানের কিছু কথা কুলাউড়া উপজেলার জনসাধারণের জন্য তুলে ধরা হলো,
আসসালামু আলাইকুম,
আমি স্কোয়াড্রন লীডার(অব) সাদরুল আহমেদ খান, সাবেক ডেপুটি সার্জেন্ট-এট-আর্মস জাতীয় সংসদ, সদস্য, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ । এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ২৩৬ মৌলভীবাজার-২(কুলাউড়া উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কুলাউড়া উপজেলায় উন্নয়নে শরীক হতে এবং বাংলাদেশ বিরোধী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সংসদে যথাসাধ্য ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই এই জাতীয় নির্বাচনে আমার অংশগ্রহণের প্রচেষ্টা ।
আমি দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের গর্ব সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত থেকে দেশ সেবার সুযোগ পেয়েছি। আমার সামরিক প্রশিক্ষন ও অভিজ্ঞতা আমাকে আত্মবিশ্বাসী দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলেছে। আমি যেকোন ত্যাগ স্বীকার করে দেশ সেবার দায়িত্ব নিতে সর্বদা প্রস্তুত।
আমি প্রায় এক দশক মহান জাতীয় সংসদে ডেপুটি সার্জেন্ট এ্যাট আর্মস হিসেবে প্রেষনে নিয়োজিত ছিলাম। পার্লামেন্টারী প্র্যাকটিস, প্রিভিলেজ এন্ড ডিসিপ্লেন, পার্লামেন্টারী বাজেট, পার্লামেন্ট সেশন, স্টান্ডিং কমিটি, ইন্টার পার্লামেন্টারী এ্যাফেয়ারস, আইন প্রণয়ন কার্যাবলী ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে আমার স্বচ্ছ ধারনা রয়েছে।
দুটি শীর্ষ আন্তর্জাতিক সংসদীয় প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এবং ‘কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশন’ এ কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার ।বিভিন্ন পার্লামেন্টারী ফ্রেন্ডশীপ গ্রুপের সাথেও আমি কাজ করেছি । আর একারণেই আমার প্রত্যাশিত মনোনয়নে একজন আইন প্রণেতার কাজ সম্পর্কে আমি সম্পুর্ণ অবগত আছি । আর সেটা পালনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে প্রস্তত রয়েছি ।
আমি ২০১৯ সালে চাকুরী থেকে স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ করে সরাসরি রাজনীতিতে যোগদান করি, ২০২০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আমাকে অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয় । দলে জায়গা পাওয়াকে সফল করকে আমি কেন্দ্র ও তৃণমূলে একযোগে কাজ শুরু করি । কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে দলীয় ও দেশের বাজেট নিয়ে কাজ করি । আওয়ামী লীগ মখপত্র উত্তরণ ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সমূহে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধা সহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ে নিয়মিত কলাম লিখি । আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান “সিআরআই” তে বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট তইরি করি ।
এদিকে তৃণমূলে কাজ করার সময় আমি সব সমইয় এসডিজি এর সাথে সংযুক্ত উদ্যোগ নেই এবং কুলাউড়ার ১৩টি ইউনিয়ন ও পোৌরসভায় একযোগে কাজ করি। উপজেলার সকল ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন, নারী ও শিশু সম্মাননা, জনপ্রতিনিধি সম্মাননা, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, বৃক্ষরোপন, ম্যাডিক্যাল ক্যাম্প, ব্লাড ক্যাম্প, শাক সবজীর বীজ বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, ম্যা্রাথন দৌড়, সাতার প্রতিযোগীতা ইত্যাদি ধারাবাহিক কাজ করি । এছাড়াও, করোনা, বন্যা , সড়ক বা রেল দূ্ঘটনা সব সময় মানুষের পাশে দাড়াই ।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়নের ১৫০টি ভিডিওচিত্র হাট বাজারে মানুষের কাছে প্রদ্র্শন করে জনমত স্ৃষ্টি করি ।
তৃণমূল কাজের জন্য আমি ২০২২ সালে চেইনঞ্জমেকার এওয়ার্ড এবং ২০২৩ সালে দুবাই গ্লোবাল ইয়ুথ লীীডারশীপ এওয়ার্ড লাভ করি
আমার বাবা মরহুম আব্দুল লতিফ খান বঙ্গবন্ধুর একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন । ৭৫ পরবর্তী সেনাশাসনে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন এবং প্রকাশ্যে জনসম্মুখে নির্যাতিত হয়েছিলেন । ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কুলাউড়া থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন । আর সেকারণেই কুলাউড়ার রাজনীতির সাথে রয়েছে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আওয়ামী আন্দোলন সংগ্রাম ও নির্বাচনে আমরা পারিবারিক ভাবেই জড়িত ছিলাম , এ অঞ্চলের মানুষের সাথে আমার রয়েছে আত্মার সম্পর্ক, আত্মীয়তার সম্পর্ক ।
গণতন্ত্রের মানষকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনীত করলে আমি তার নির্দেশিত পথেই আমার সামরিক প্রশিক্ষণ এবং সংসদে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আওয়ামী লীগ ও কুলাউড়ার তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই ।নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আর দলীয় মনোনয়ন একটি গণতান্ত্রিক উৎসব । এই মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় জড়িত স ক্ ল কে জানাই ধন্যবাদ ও শুভ কামনা ।‘দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ । জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
ভিডিও চিত্রটি বড় পর্দায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রদর্শনী করা হচ্ছে :
৪ নভেম্বর কুলাউড়া পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও রেলওয়ে জংশন ক্লাব মাঠে।৬ নভেম্বর জয়চন্ডী ইউনিয়নের ঘাগটিয়া, নোয়াখালী পাড়া, ৭ নং মার্কেট ও সদর ইউনিয়নের গাজিপুর চা বাগানের ভৈরবতলী বাজারে।৭ নভেম্বর কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের জনতা বাজার ও কর্মধা ইউনিয়নের কালোটি বাশলাইন, রাঙ্গিছড়া বাজার, ৮ নভেম্বর কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের মাস্টারের দোকান, গাজীপুর চা বাগান, দানাপুর, জয়চন্ডী ইউনিয়নের বিজয়া চা বাগান। ৯ নভেম্বর ভাটেরার মাদ্রাসা বাজার, বেরকুড়ি,পুরাতন বাজার, স্টেশন বাজার, ১০ নভেম্বর ব্রাহ্মণ বাজার ইউনিয়নের সরাকারি পাড়, শ্রীপুর বাজার, বরমচাল ইউনিয়নের শাহকালা সিঙ্গুর ও নন্দনগর, ১২ নভেম্বর জয়চন্ডী ইউনিয়নের পুরসাই, মীরসংকর, ভূকশিমইল ইউনিয়নের ঘাটের বাজার, ১৫ নভেম্বর শরীফপুর ইউনিয়নের তিলকপুর, মরিচুলি, হায়দরগঞ্জ, চাতলাপুর, আমতইল, নসিরগঞ্জ বাজার, ১৬ নভেম্বর হাজিপুর ইউনিয়ন এবং ১৭ নভেম্বর টিলাগাও ইউনিয়ন।
পরিশেষে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, গণতন্ত্রের মানষকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনীত করলে আমি তার নির্দেশিত পথেই আমার সামরিক প্রশিক্ষণ এবং সংসদে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আওয়ামী লীগ ও কুলাউড়ার তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই ।নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আর দলীয় মনোনয়ন একটি গণতান্ত্রিক উৎসব । এই মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় জড়িত স ক্ ল কে জানাই ধন্যবাদ ও শুভ কামনা ।‘দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ । জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।