নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথ ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র আভিযানিক কর্মকাণ্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার টেকনাফের নাজিরপাড়া সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৩,৮০,০০০ (তিন লাখ আশি হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আলুগোলা স্লুইচ গেইট নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে নাজিরপাড়া বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গিয়ে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়িবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ৭ টা ৫০ মিনিটের সময় টহলদল ৪ জন ব্যক্তিকে কয়েকটি প্লাষ্টিকের বস্তা মাথায় নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে সীমান্তের শূণ্যলাইন অতিক্রম করে আলুগোলা স্লুইচ গেইটের দিকে আসতে দেখে।
উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত ব্যক্তিরা দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই দ্রুত দৌড়ে পালানোর সময় তাদের মাথায় থাকা প্লাষ্টিকের বস্তাগুলো মাটিতে পড়ে যায় এবং চোরাকারবারীরা নাফ নদীর পার্শ্বে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ২টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর হতে ৩,৮০,০০০ (তিন লাখ আশি হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাচালানি চক্রের সদস্যদের সনাক্ত করার জন্য টেকনাফ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।