বশেমুরবিপ্রবিতে  শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষকের প্রতি অসদাচরণের  অভিযোগ 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা বিশেষ প্রতিবেদন শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি)।


বিজ্ঞাপন

 

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী :  পরীক্ষা কক্ষে বিভাগীয় শিক্ষককে অপমান করে অসদাচরণ করার অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ফার্মেসী বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (সেশন ২০১৮-১৯) শিক্ষার্থী রনি মৃধার বিরুদ্ধ।

অভিযোগ  সূত্রে জানা যায়  একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সাথে ঘটেছে এমন ঘটটনা ঘটেছে ।

এ ঘটনার  বিচার না পাওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি নেয়ার ঘোষনা দেন ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম।গত ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) অভিযোগকারী শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিচার এবং নিজের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়  গত ২৯ আগষ্ট বিভাগের ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার পরীক্ষা (PHR111/Physical Pharmacy-1) পরিদর্শনকালে রনি মৃধা পাশের শিক্ষার্থীর খাতা দেখে লিখে৷ এসময় তাকে অভিযোগকারী শিক্ষক  একাধিকবার দেখে না লেখার জন্য অনুরোধ  করেন কিন্তু সে  কথা অমান্য করে। ফলে তার পাশের শিক্ষার্থীকে অন্যস্থানে সরিয়ে দেয়া হয়।

এসময় রনি আবারও শিক্ষকের সাথে অত্যন্ত উদ্ধত আচরণ করে। এমনকি পাশের শিক্ষার্থীকে সরানোর কারণ জানতে চেয়ে অত্যন্ত উদ্ধত ভাষায় উক্ত শিক্ষককে পরীক্ষা কেন্দ্রেই চার্জ করে। এবং নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে পরীক্ষা কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। পরীক্ষার কক্ষের বাইরে গিয়েও সে শিক্ষককে  গালিগালাজ করে। এবিষয়ে ভূক্তভোগী শিক্ষক  বিভাগীয় সভাপতিকে জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বলে জানা যায়নি।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগ থেকে আরও যানা যায় যতদিন পর্যন্ত এর সুষ্ঠ বিচার না হবে ততদিন পর্যন্ত নিজের নিরাপত্তার কারণে তিনি বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রনি মৃধা সাংবাদিকদের জানান, শফিক স্যার আমার সাথে ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে এই অভিযোগগুলো দিয়েছেন৷ আমি তার সাথে এরকম কোনো আচরন করিনি। যদি করে থাকি তাহলে ওনাকে প্রমান করতে বলুন। আমি তার সাথে নতজানু হয়ে কথাগুলো বলেছি৷ কিন্তু এটিকে ওনি অনেক বড় ইস্যু বানিয়ে ফেলছে।

এদিকে, রনি মৃধা তার শিক্ষাজীবনের সার্বিক নিরাপত্তা চেয়ে আজ  প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার দপ্তরে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন৷


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *