অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে জলাবদ্ধতার নিরসনে সরকারি খালের আগাছাসহ শেওলা অপসারন করা হয়েছে। তিনি আজকের দেশ ডটকম কে জানান, , ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান করার জন্য সুন্দলী সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করি। পরিদর্শন কালে লক্ষ করা যায় সুন্দলী ইউনিয়নের জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসনের জন্য খালে জমে থাকা শেওলা ও কচুরীপনা অপসারন করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়ে।
যে কারনে জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় উপজেলা বিভিন্ন কর্মকর্তা সহ সেচ্ছাসেবকদের স্বতঃস্ফুত অংশ গ্রহনের মাধ্যমে খালের জমে থাকা কচুরিপানা ও শেওলা অপসারনের কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ওই এলাকার সাধারন মানুষের দুঃখ ঘোচাতে এ ধরনের উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। খালের পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারলে আমারা সফল হবে। ফলে উপকৃত হবে ভবদহ জলাবদ্ধতা এলাকার কয়েক গ্রামের সাধারন মানুষ।
আজ শনিবার ২৫ নভেম্বর, সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ সরেজমিনে গিয়ে নিজে খালের পানিতে নেমে সেচ্ছাসেবকদের সাথে শেওলা ও কচুরীপনা অপসরণ শুরু করেন। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসাবে সাথে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার মোঃ কামরুজ্জামান ও শেওলা অপসরনে কাজ করেন।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম আবু নওশাদের সহধর্মীনী নাহিদা সুলতানা। শেওলা অপসরনে কাজ করেন যশোর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন, পিআইও মোঃ মুসফিকুর রহমান, যুব উন্নয়ন অফিসার আঞ্জুয়ারা বেগম, পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা হারুনর রশিদ, উপজেলা সহকারি প্রোগ্রামার আহসান কবীর, সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল, সুন্দলী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক অমর বিশ্বাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক অলোক কুমার দাস, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক পল্লব বিশ্বাস, নওয়াপাড়া সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল হাসান ও তার নেতৃত্বে সেচ্ছাসেবক দল, সুন্দলী এস.টি স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ সহ সুন্দলী ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দল।
সুন্দলী ইউ’পি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল আজকের দেশ ডটকম কে জানান, সুন্দলী এলাকার খালে নেমে শেওলা ও কচুরীপনা অপসারন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ সাহেব কে এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন চায়ের দোকানে চলছে প্রশংসার জোয়ার। এক ব্যক্তি কাগজ দিয়ে ফুল তৈরি করে এবং সেই ফুলের মালা বানিয়ে ইউএনও এবং এসিল্যন্ড স্যারকে গলায় পরিয়ে দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এ ধরনের ভালো কাজের সাথে থাকতে পেরে আমার নিজেরও খুব ভালো লাগছে।