র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার কৃত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর রাজধানীর আশুলিয়া, সাভার, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী ও প্রশিক্ষণ শাখার প্রধান আব্দুর রাজ্জাক @ইসহাক @সাইবা সহ ৬ সদস্য।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিএফআই এর তথ্যের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর রাজধানীর আশুলিয়া, সাভার, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী ও প্রশিক্ষণ শাখার প্রধান আব্দুর রাজ্জাক @ইসহাক @সাইবা সহ ৬ সদস্যকে
র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার কৃত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর রাজধানীর আশুলিয়া, সাভার, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী ও প্রশিক্ষণ শাখার প্রধান আব্দুর রাজ্জাক @ইসহাক @সাইবা সহ ৬ সদস্য।নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ এর বিশেষ একটি টিম, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, র্যাব প্রতিনিয়ত জঙ্গি বিরোধী অভিযান ও নজরদারী পরিচালনার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ দমনে কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’ এর সাথে একত্রিত হয়ে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ এর আমীর ও শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ প্রায় শতাধিক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এছাড়াও নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে র্যাবের নিয়মিত নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের প্রায় ০৩ হাজার এবং হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তী সময়ে প্রায় ০২ হাজার জঙ্গিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে র্যাব। যখনই জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়েছে তখনই র্যাব ফোর্সেস সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর তথ্যের ভিত্তিতে ‘আনসার আল ইসলাম’ এর বেশকয়েক জন সদস্যকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে র্যাব।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর রাজধানীর আশুলিয়া, সাভার, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী ও প্রশিক্ষণ শাখার প্রধান আব্দুর রাজ্জাক @ইসহাক @সাইবা (৪১), পিতা- আব্দুর রহিম, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ, মোঃ শরিফুল ইসলাম @মুরাদ (৩১), পিতা- মোঃ হান্নান, ভালুকা, ময়মনসিংহ, আশিকুর রহমান @উসাইমান (২৭), পিতা- হাফেজ মাহমুদুল্ল্যা হেলাল, তারাকান্দা, ময়মনসিংহ, মুহাম্মদ জাকারিয়া @আবরার(২৪), পিতা- মুহাম্মদ আব্দুল হাই, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ, মোঃ আল আমিন @রবিন @সামুরা (২৪), পিতা- মোঃ এমদাদুল হক, ধনবাড়ি, টাঙ্গাইল এবং মোঃ আবু জর @মারুফ (১৮), পিতা- কারী ওয়ানী উল্ল্যা, কুমিল্লাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমান জিহাদী ও উগ্রবাদী বই এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদী।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সদস্য। তারা আফগানিস্থানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ উদ্দেশ্যে সংগঠনের সদস্যদেরকে তারা বিভিন্ন উগ্রবাদি পুস্তিকা, মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্যের ভিডিও সরবরাহ করতো। এছাড়াও তারা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভুল তথ্য প্রদান করে তাদের আত্মীয়-স্বজন, বিভিন্ন মাদ্রাসা ও সদস্যদের নিকট থেকে নিয়মিত অর্থ সংগ্রহ করতো। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তারা মসজিদ, বাসা বা বিভিন্ন স্থানে সদস্যদের নিয়ে গোপন সভা পরিচালনা করতো বলে জানা যায়। এছাড়াও তারা পাশর্^বর্তী বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখতেন এবং তারা সংগঠনের সদস্যদের তথাকথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য অবৈধ পথে পার্শ্ববর্তী দেশে প্রেরণ করতো বলে গ্রেফতারকৃতরা জানায়।
গ্রেফতারকৃত আব্দুর রাজ্জাক @ইসহাক @সাইবা দাখিল সম্পন্ন করে। সে ২০১৫ সালে সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগদান করে। সংগঠনে যোগদানের পর সে বিভিন্ন পেশার আড়ালে সংগঠনের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। পরবর্তীতে সে সংগঠনের রাজধানীর আশুলিয়া, সাভার, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক এবং প্রশিক্ষণ শাখার প্রধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। তার সাথে আনসার আল ইসলাম এর বর্তমান আমিরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে এবং তার নির্দেশেই তিনি রাজধানীর আশুলিয়া, সাভার, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। সে অনলাইনের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও জিহাদে উদ্বুদ্ধ করে সংগঠনের জন্য নতুন সদস্য সংগ্রহ করতো। তার নির্দেশে সংগঠনের নতুন সদস্যদের গাজীপুর, টঙ্গি ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন আনসার হাউজে তাত্তি¡ক ও শারীরিক কসরতসহ বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হতো। সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গোপনীয় অ্যাপস ব্যবহার করে সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতো ও শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নিকট হতে নির্দেশনা নিতো এবং সংগঠনে তার অনুসারীদের সকল প্রকার দিকনির্দেশনা দিতো। এছাড়াও সে সংগঠনের সদস্যদের কাট আউট সিস্টেম সম্পর্কিত বিষয়ে মৌখিক এবং লিখিত প্রশিক্ষণ প্রদান করতো এবং কাট আউট সিস্টেম এর নীতিমালা মেনে চলার নির্দেশনা দিতো বলে জানায়। সে পাশর্^বর্তী বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গোপন অ্যাপস এর মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখতো। তার নির্দেশনায় গ্রেফতারকৃত শরিফুল সংগঠনের বেশকিছু সদস্যকে তথাকথিত হিজরত ও বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণের জন্য অবৈধ পথে পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠিয়ে ছিল বলে জানায়। সাইবার নির্দেশনায় পাশর্^বর্তী দেশে প্রেরণকৃত ০৪ জন সদস্য এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে পাশর্^বর্তী দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়। সে কাশেমপুর কারাগারে গ্রেফতারকৃত আনসার আল ইসলামের সদস্যদের সাথে নিয়মিত দেখা করতো এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের দেখা করিয়ে দিতো বলে জানা যায়। এছাড়াও সে আনসার আল ইসলামের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে সমন্বয় করায় সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক সাইবা হিসেবে পরিচিত পায়।
গ্রেফতারকৃত আশিকুর রহমান একজন কুরআনের হাফেজ। সে ময়মনসিংহ এলাকায় হিজামার ব্যবসা করতো বলে জানা যায়। সে ২০১৮ সালে সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগদান করে দাওয়াতী কার্যক্রম করতে থাকে। পরবর্তীতে সে সংগঠনের ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলার অন্যতম প্রধান সেকশন চীফ হিসেবে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করতো। পাশাপাশি সে সংগঠনের জিহাদী প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয়ে অন্যতম সমন্বয়ক ছিল বলে জানা যায়। সে নতুন সদস্যদের সংগঠন ও তথাকথিত জিহাদ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জনের জন্য উগ্রবাদী পুস্তিকা সরবরাহ করতো। গ্রেফতারকৃত সাইবা এর নির্দেশনায় সে সংগঠনের মাসুলদের অধীনস্থ হিসেবে নতুন সদস্যদের বন্টন করার দায়িত্ব পালন করতো বলে জানা যায়। সে সংগঠনের বিভিন্ন সদস্যদের কারাতে প্রশিক্ষণ ও শারীরিক কসরত সম্পর্কিত বিষয়সমূহে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করতো এবং প্রশিক্ষণকালীন সময় শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা প্রদান করতো বলে জানায়।
গ্রেফতারকৃত জাকারিয়া @আবরার স্থানীয় একটি মাদ্রাসা হতে হাফেজী পড়া সম্পন্ন করে। সে ২০২০ সালে সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগদান করে। সে ভ্রাম্যমান রকমারি ব্যবসার আড়ালে সংগঠনের দাওয়াতী কার্যক্রম ও নতুন সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে জানা যায়। পরবর্তীতে সে রাজধানীর আশুলিয়া, সাভার এবং মানিকগঞ্জ জেলার সংগঠনের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। সে গ্রেফতরকৃত আশিকুর রহমান এর নির্দেশে কারাতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং বø্যাকবেল্ট অর্জন করে। পরবর্তীতে সে গ্রেফতারকৃত সাইবা এর নির্দেশে সংগঠনের সদস্যদের সাভার ও গাজীপুর, টুঙ্গির বিভিন্ন আনসার হাউজে শারীরিক (কারাতে) প্রশিক্ষণ প্রদান করত। এছাড়াও সে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গোপনীয় এ্যাপস এর মাধমে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করতো।
গ্রেফতারকৃত শরিফুল স্থানীয় একটি হাফিজীয়া মাদ্রাসা হতে হেফজ সম্পন্ন করে। সে ২০১৮ সালে গ্রেফতারকৃত সাইবার মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগদান করে দাওয়াতী কার্যক্রম করতে থাকে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত সাইবার নির্দেশে সে সংগঠনের ০৪ জন সদস্যসহ ২০১৯ সালের প্রথম দিকে তথাকথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও তথাকথিত জিহাদের জন্য অবৈধ পথে পাশর্^বর্তী দেশে গমন করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের শেষের দিকে সে অন্য সদস্যদের রেখে কৌশলে অবৈধ পথে বাংলাদেশে ফেরত আসে। বাংলাদেশে আসার পর সেখানে অবস্থানরত সংগঠনের সদস্যদের সাথে সে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতো এবং পুনরায় সংগঠনের দাওয়াতী কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতো বলে জানায়। সে গ্রেফতারকৃত সাইবার নির্দেশনায় সংগঠনের সদস্যদের তথাকথিত হিজরত ও প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে অবৈধ পথে পাশর্^বর্তী দেশে প্রেরণ করতো। সে সংগঠনের সদস্যদের বিভিন্ন দেশে প্রেরণের জন্য বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করতো। এছাড়াও সে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় সংগঠনের নেতৃস্থানীয়দের নিয়ে সভার আয়োজন করতো বলে জানা যায়। সে তথাকথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে পাশর্^বর্তী দেশে প্রেরণের জন্য সদস্য নির্বাচন ও প্রেরণ কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করতো।
গ্রেফতারকৃত মোঃ আল আমিন @রবিন @সামুরা স্থানীয় একমটি মাদ্রাসা হতে দাখিল সম্পন্ন করে। সে ২০১৯ সালে রাকিব এর মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলাম সংগঠনটিতে যুক্ত হয়। সে মাদ্রাসায় শিক্ষকতার আড়ালে সংগঠনের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। পরবর্তীতে সে ২০২১ সালে আনসার আল ইসলাম এর পক্ষ থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র জন্য পার্বত্য এলাকায় মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ সরবরাহের কাজ করতো। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র অর্থ শাখার প্রধান গ্রেফতারকৃত মোশারফ হোসেন @রাকিব এর সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। সে মোশারফ হোসেন @রাকিব এর নির্দেশে কেএনএফ এর প্রশাসন ও অর্থ শাখার পাসেন মিরাম নামক ব্যক্তির নিকট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র ক্রয়ের জন্য অর্থ প্রেরণ করতো বলে জানা যায়। এছাড়াও তার সাথে কুকি চীন এর নেতৃস্থানীদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ আবু জর @মারুফ স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় জালালাইনে অধ্যয়নরত। সে ২০২২ সালে গ্রেফতারকৃত জাকারিয়া এর মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘আনসার আল ইসলাম’ সংগঠনটির সাথে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে সে গ্রেফতারকৃত জাকারিয়ার নিকট হতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এবং ভ্রাম্যমান রকমারি ব্যবসার আড়ালে তার নিজ এলাকায় দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।