খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

কেএমপি’র অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ কমিশনার মো : মোজাম্মেল হক।


বিজ্ঞাপন

মামুন মোল্লা (খুলনা) : আজ সোমবার  ১১ ডিসেম্বর, সকাল ১০ টা ৫ মিনিটের সময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি’র সদর দপ্তরস্থ পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে পুলিশ কমিশনার  মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা, এর সভাপতিত্বে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার উপস্থিত সবাইকে সালাম এবং বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে অপরাধ সভার কার্যক্রম শুরু করেন। স্বাধীনতা, উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন এবং প্রত্যয় নিয়ে আমাদেরকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন সেই প্রত্যয়ে বাংলাদেশ এখন অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এই মাসটি আমাদের জাতীয় জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আসন্ন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তি, শৃঙ্খলা-রক্ষা এবং অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের সকলকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যে কেএমপি’র আইন-শৃঙ্খলা সন্তোষজনক থাকায় সকলকে ধন্যাবাদ জ্ঞাপন করেন।

খুলনা মহানগরীতে জঙ্গী ও সন্ত্রাস, মাদক, মানব পাচার, চাঁদাবাজি প্রতিহত সহ যানজট মুক্ত নগরী গড়তে বদ্ধ পরিকর। এছাড়া হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, গণধর্ষণ, অপহরণসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলাসমূহের নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। যে কোন ধরণের ফৌজদারি আপরাধ সংঘটন ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় মাদক সংক্রান্ত কোন অভিযোগ শুনতে চাই না। এজন্য মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের তালিকা অনুযায়ী মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী, জুয়াড়ি, দেহ ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।

কেএমপির আওতাধীন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটলে দ্রুততার সাথে মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেতে হবে। চোর চক্রের ডাটাবেজ করতে হবে এবং চুরি বন্ধে নাইট গার্ডদের টহল পুলিশ সতর্ক করবে। ডিউটি কালীন সময়ে লাইট ও বাঁশি ব্যবহার করলে সিধেঁল চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। অভিযোগগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন। খুলনা মহানগরীতে মোটরসাইকেল চোরচক্র গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

সকল পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্সকে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে, কারো অনাকাঙ্খিত চলাফেরার কারণে যেন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের দুর্নাম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেএমপিকে সবাই মিলে একটি চমৎকার গতিশীল ইউনিটে পরিণত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমতাজুল হক; সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ আমিরুল ইসলাম; গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক  এস.কে লুৎফর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ ইমদাদুল হক; শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক কর্মকর্তা হিসেবে ট্রাফিক বিভাগ হতে পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন)  মাহমুদ আলম, সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই (নিঃ) অনুপ কুমার ঘোষ, এসআই (নিঃ) মোঃ নেয়াজ মোরশেদ; এসআই (নিঃ) মুক্তা বিশ্বাস, আইসিটি শাখার সার্জেন্ট এসএম তানভীর আহম্মেদ, খুলনা থানার এসআই (নিঃ) আব্দুল হান্নান; এসআই (নিঃ) মোল্লা আব্দুল হাই, এসআই (নিঃ) মোঃ মামুন অর-রশিদ; সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই (নিঃ) সুমন মন্ডল, লবণচরা থানার এসআই (নিঃ) মোঃ হাবিবুর রহমান, এসআই (নিঃ) প্রদীপ বৈদ্য, খালিশপুর থানার এসআই (নিঃ) মোঃ রাকিবুল ইসলাম, এসআই (নিঃ) রেজাওয়ানুজ্জামান; এসআই (নিঃ) ব্রজেন কুমার ঘোষ, দৌলতপুর থানার এসআই (নিঃ) মোঃ মিকাইল হোসাইন, এসআই (নিঃ) বদিউর রহমান, ভিকটিম সার্পোট সেন্টারের এসআই (নিঃ) ডলি সরকার, আড়ংঘাটা থানার এসআই (নিঃ) মোঃ লুৎফুল হায়দার, খানাজাহান আলী থানার এসআই (নিঃ) অয়ন তীর্থ পাইক, এসআই (নিঃ) মোঃ ইসতিয়াক আহম্মেদ, গোয়েন্দা বিভাগের এসআই (নিঃ) মোঃ সেলিম হোসেন, এসআই(নিঃ) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সিটিএসবি খুলনা জোনের এসআই (নিঃ) মোঃ শফিউদ্দিন; ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট পিযূষ কুমার দে; এসআই (সঃ) নির্মল পাঠক, টিএসআই মোঃ আলমগীর হোসেন; প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই(নিঃ) রহিনি আক্তার, এএসআই (নিঃ) মোঃ সরোয়ার, এএসআই (নিঃ) মোঃ ইমরান হোসেন, এএসআই(নিঃ) মঞ্জুর রহমান; এএসআই (নিঃ) তুহিন মিয়া, এএসআই (নিঃ) এম.এম রবিউল ইসলাম,কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিসের এএসআই (নিঃ) বিল্লাহ হোসেন, এএসআই (নিঃ) রাজেন্দ্র নাথ ঘোঘ, এএসআই (সঃ) গৌতম চন্দ্র মিস্ত্রি, আরসিডি শাখার নায়েক মোঃ সাইফুল আলম; নায়েক শাহাজাহান হাওলাদার, স্টোনো গ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ সাখাওয়াত হোসেন দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন, সিটিএসবি খুলনা জোনের কনস্টেবল আমিরুল কবির,সিটিএসবি হরিণটানা জোনের কনস্টেবল মোঃ শামসুর রহমান খান, প্রসিকিউশন বিভাগের কনস্টেবল কাজী খালিদ হোসেন, এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের হেড অ্যাসিসটেন্ট শেখ মনিরুল ইসলাম, অপরাধ শাখার কনস্টেবল তানভীর হায়দার; মিডিয়া শাখার ক্যামেরাম্যান মাহাবুবুর রহমান, কনস্টেবল আকাশ বিশ্বাস; কনস্টেবল ইলিয়াস কাঞ্চন, কনস্টেবল কামরুজ্জামান,কনস্টেবল হাবিবুর রহমান; উচ্চমান সহকারি ইদ্রিস আলী গাজী,কনস্টেবল ইখতেখার হোসেন রাফি,কনস্টেবল রাজি উন নাবী, কনস্টেবল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান-সহ সকলে সঠিকভাবে অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট এবং ক্রেস্ট প্রদান করেন।

মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও)  সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম)  মোঃ সাজিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন-সহ ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, সহকারি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জবৃন্দ এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত অফিসারবৃন্দ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *