সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় সংক্ষুব্ধ হয়ে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার ইউনিয়নের সরমঙ্গল গ্রামের মৃত সিবাজ উদ্দিনের ছেলে নজির আহমদ এ অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে উপজেলার ৫নং সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। বর্তমান পরিষদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন ই নয়ই, বরং সরকারি কোন দিবসেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়না। এটি তার দৃষ্টি গোছর হলে সংক্ষুব্ধ হয়েই তিনি এ অভিযোগটি দায়ের করেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বর্তমান চেয়ারম্যান তার মনগড়াভাবে পরিষদকে চালিয়ে যাচ্ছেন। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ বলে হয়। পরিষদের অনেক সাবেক ও বর্তমান সদস্য এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত পরিষদগুলো এই সমস্ত বিশেষ দিবস আসলে পরিষদের সদস্যদের নিয়ে মিটিং করে দিবস পালিত হতো। কিন্তু রাজাকার পুত্র চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সদস্যদের সাথে কোন রকম আলোচনা করেন না বলে জানা গেছে। যা আমাদেরকে ব্যথিত করেছে, এতে আমরা সংক্ষুদ্ধ হয়েছি। ইতিমধ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সুনামগঞ্জের প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ বজলুল মজিদ খসরু রচিত ‘রক্তাক্ত ৭১ সুনামগঞ্জ’ নামক বইয়ের ২০১ পৃষ্ঠায় দিরাই থানার রাজাকারদের তালিকার ৫৭নং-এ তার পিতা আব্দুল মতলিব মিয়ার নাম রয়েছে। সম্ভবত তার পিতার মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধি শিবিরে থাকায় এসব দিবস পালন না করে এড়িয়ে যাচ্ছেন। চেয়ারম্যান এক সময় শিবিরের সাথে যুক্ত ছিলেন, বর্তমান তিনি বিএনপি করেন। কিছু সংখ্যক রাজাকার, আল-বদর ও তাদের সহযোগি দোসররা এখনও স্বাধীনতার বিরোধীতায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগের ব্যাপারে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করব। তদন্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।