রাজধানীর বনানীতে ফের মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হালিম 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

প্রিয়া আক্তার :  রাজধানীর বনানীতে ফের মাদক ব্যবসায় সক্রিয় শহিদুল ইসলাম হালিম ও তার সহযোগী রুবেল। আবার হোম ডেলিভারিতে তারা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফোন করলেই তারা প্রাইভেট কারে করে পৌঁছে দেয় বিদেশি মদ ও বিয়ার।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর, শাহজাহানপুর থানার কর্মরত পুলিশ বাহিনীর হাতে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল হালিম ও তার সহযোগী রুবেল।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শাহজাহানপুর থানাধীন (শাহজাহানপুর পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন) রেলওয়ে কলোনি এলাকা থেকে (১) শহিদুল ইসলাম হালিম (৩৬), পিতা-মৃত আব্দুল মতিন, মাতা- নুরজাহান বেগম, সাং দক্ষিণ রুপসা, থানা- ফরিদগঞ্জ, জেলা- চাঁদপুর। এ/পি বাড়ী নং ৩১, রোড নং ১০, নিকুঞ্জ-১, থানা- খিলক্ষেত, ঢাকা। (২) মোঃ রুবেল হোসেন (৩১), পিতা- মোঃ শাহ আলম হোসেন, মাতা- ফাতেমা বেগম, সাং হাইধননগর, থানা- বাঞ্ছারামপুর, জেলা- বি-বাড়ীয়া। এ/পি বাসা নং ১০৩, খা পাড়া এশিয়া পাম্প, থানা- টুঙ্গী পশ্চিম, জেলা- গাজীপুর। এদের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১), ২৪(ক)/১০(ক)/৮(ক)/৪১ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।
শাহজাহানপুর থানার এসআই জব্বার হোসেন (নিরস্ত্র) এর নেতৃত্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এসময় তাদের নিজ নিজ হেফাজত থেকে দেশি বিদেশি মদ ৫ বোতল, ১০০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
পুলিশ জানিয়েছিল, রাজনৈতিক পরিচয়ে শহিদুল ইসলাম হালিম এবং তার সহযোগী রুবেল হোসেন বনানীর ২/২ রোডে পুরাতন গাড়ি‌ কেনাবেচার আড়ালে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। হালিম মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তারের পর এ খবর জানাজানি হলে তার ভাড়ায় নেওয়া গাড়ির শোরুমের জমির মালিক চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে হালিমের সাথে আর নতুন করে চুক্তি করেনি। পরে শোরুম ছেড়ে দিতে হয় তাকে। এ নিয়ে জমির মালিক ও শোরুমের নতুন ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে হালিম।
এদিকে জানা গেছে, মাদক মামলায় জেল থেকে জামিনে বের হয়ে কিছুদিন মাদক ব্যবসা থেকে বিরত থাকলেও বর্তমানে আবার মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হালিম ও তার সহযোগী রুবেল। হোম ডেলিভারিতে তারা মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম হালিম বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সক্রিয় নেতা ছিলেন। বর্তমানে তার মাদক ব্যবসাকে আরো সহজ করতে স্বেচ্ছাসেবক দল ছেড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়েছে। মাদক ব্যবসার টাকায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিটিং-মিছিলে ভাড়াটে লোক পাঠিয়ে নেতাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টায় আছেন হালিম। এছাড়া মিটিং মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে ছবি তুলে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের বড় নেতা হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয় কৌশলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথেও তুলছেন ছবি।
হালিমের সাথে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নই। আমার ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষরা শাহজাহানপুর থানার পুলিশকে টাকা খাইয়ে আমাকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছিল।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *