দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাদ, সুসঠ,  নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক করতে বদ্ধ পরিকর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

Uncategorized আইন ও আদালত জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সারাদেশ

স্কোয়াড্রন লীডার (অবঃ) সাদরুল আহমেদ খান, সিলেট বিভাগীয় সমন্নয়ক, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পযবেক্ষক সমনবয় উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।


বিজ্ঞাপন

 

 

বিশেষ প্রতিবেদন  :  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাদ,সুসঠ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক করতে বদ্ধ পরিকর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণ মেনে চলার নিদেশনা প্রদান করেছেন।

নিবাচনী প্রচারণা: নিবাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, তাদের প্রার্থী বা সতন্ত্র প্রার্থী সমান সুযোগ লাভ করবে।

কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার ও ব্যানার সাদাকালো হতে হবে; পোস্টারের সাইজ অনধিক ৬০ বাই ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার অনধিক ৩ বাই ১ মিটার হতে হবে। পোস্টার বা ব্যানারে প্রার্থীর নিজের প্রতীক ও ছবি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক প্রকাশ করা যাবে না। প্রার্থী কোন নিবন্ধিত দলের মনোনীত হলে দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন।

পোস্টার, লিফলেট, পেইন্টিং দেওয়াল লিখন: শুধুমাত্র রাস্তার উপর দড়ি দিয়ে রাস্তার উপর পোস্টার ঝুলানো যাবে।ভবন, দেয়াল, গাছ, ল্যাম্পপোস্ট বা সরকারি স্থাপনা এবং বাস, ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চ, রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহনে কোনো পোস্টার লাগানো যাবে না। অন্য প্রার্থীর পোস্টারের ওপরেও পোস্টার সাঁটানো যাবে না। দেয়াল বা যানবাহনে যেকোনো ধরনের ছবি আঁকাও যাবে না।

যানবাহন ব্যবহার: যানবাহন ব্যবহার করে মিছিল করা যাবে না, প্রার্থীদের মোটরসাইকেল শোডাউন কিংবা বাস, ট্রাক ও নৌকার মতো যানবাহন ব্যবহার করে মিছিল করা নিষেধ ।

মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : সারা দেশে ৫ জানুয়ারী ২০২৪ মধ্যরাত ১২.০০ টা থেকে ৮ জানুয়ারী ২০২৪ মধ্যরাত ১২.০০ টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

গাড়ি চলাচল সীমিত : প্রার্থী, প্রার্থীর এজেন্ট, পর্যবেক্ষক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ব্যতিথ সারা দেশে ৬ জানুয়ারী মধ্যরাত ১২.০০ টা থেকে ৭ জানুয়ারী মধ্যরাত ১২.০০ টা পর্যন্ত ট্যাক্সিক্যাব, উবার, মাইক্রোবাস, পিক আপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিন বোট চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।

প্রচারণার বিধি-নিষেধ: প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না।গেট বা তোরণ নির্মাণ করা যাবে না এবং চলাচলের পথে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।৪০০ বর্গফুটের বেশি স্থান নিয়ে কোনো প্যান্ডেল বা মঞ্চ করা যাবে না। ভোট কেন্দ্রের ৪০০ গজ দূরত্বের মধ্যে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না।বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না।সড়ক, জনগণের চলাচল কিংবা সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা যাবে না।প্রার্থীর ছবি, প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক কোনো বক্তব্যসহ শার্ট, জ্যাকেট বা ফতুয়া ব্যবহার করা যাবে না।মসজিদ, মন্দির গির্জা বা অন্য ধর্মীয় কোনো উপাসনালয়ে কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না। ভোট পাওয়ার জন্য মানুষজনকে দাওয়াত দেয়া, খাওয়ানো বা উপহার দেয়া নিষেধ।মাইকে নির্বাচনী প্রচারণা দুপুর ২টা হতে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে; একটি ওয়ার্ডে তিনটির বেশি মাইক ব্যবহার নিষেধ।ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বা কোনো ধরনের তিক্ত (উসকানিমূলক বা মানহানিকর) কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না। ৭ জানুয়ারী ২০২৪ ভোট শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগে এবং ভোট গ্রহন সমাপ্তির পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কোন মিছিল, মিটিং সমাবেশ করা যাবে না।

অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন: তফসিল ঘোষণার পর অর্থাৎ ১৫ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ৯ জানুয়ারী ২০২৪ পর্যন্ত লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ।

ভোট কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার: ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তা, প্রার্থীগন, পোলিং এজেন্ট, পর্যবেক্ষক, অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ ও ভোটারবৃন্দ প্রবেশাধিকার পাবেন। কোন প্রার্থী বা রাজনৈতিক দলের লোকজন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।ভোটকেন্দ্র চৌহদ্দির ভিতর ধুমপান পরিহার করতে হবে। দিয়াশলাই, গ্যাসলাইট বা দাহ্য পদার্থ বহন নিষিদ্ধ। ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ইলেকট্রনিক হিটার বা চুলা ব্যবহার নিষিদ্ধ।

মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য নিয়ম: মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের প্রচারণা-সংক্রান্ত কাজ করার সময় সরকারি যানবাহন ব্যবহার বা অন্যান্য সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। পাশাপাশি সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে অনুদানও নিতে পারবেন না তারা। ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকার কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন বা উদ্বোধন করতে পারবে না। এ ছাড়া প্রার্থী কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা সদস্য হয়ে থাকলে নির্বাচনের আগে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সভায় অংশ নিতে পারবেন না। সার্কিট হাউস, সরকারি বাংলো বা অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে দলীয় সভা ও প্রচারণার অনুমতি দেওয়া হবে না।

নির্বাচনের ব্যয়: একটি আসনে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা। এই ব্যয় একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব থেকে বহন করে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।

শাস্তি: নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার শাস্তি অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড হতে পারে।নির্রবাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আর নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে সকলের অংশগ্রহণে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। আপনাদের স্বাচ্ছন্দ ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই আসুন আচরণবিধি মেনে, ৭ই জানুয়ারী ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে, আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব নির্ধারণ করুন ভোটের মাধ্যমে।

মনে রাখবেন, ভোট দেওয়া আপনার সাংবিধানিক অধিকার, ভোট দেওয়া থেকে আপনাকে বিরত রাখার, চাপ প্রয়োগ করার, ভয় ভীতি দেখাবার,অগ্নি সন্ত্রাস, রেল সন্ত্রাস করার অধিকার কারো নেই। আচরণ বিধি মেনে চলুন, আর কোথাও আচরণ বিধি বিগ্নিত হলে ৯৯৯ এ ফোন করুন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আপনার কাছে পৌছে যাবে।জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক  :  স্কোয়াড্রন লীডার (অবঃ) সাদরুল আহমেদ খান, সিলেট বিভাগীয় সমন্নয়ক, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পযবেক্ষক সমনবয় উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *