নিজস্ব প্রতিবেদক : পানামা পেপার্স ও প্যারাডাইস কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর এবার সিঙ্গাপুরের ব্যবসায় অংশীদারিত্বের তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ধরনের খবর আসার পর সিটি নির্বাচনে প্রার্থীরা তথ্য গোপন বা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন কিনা তা নজরদারি শুরু করেছে দুদক।
সুইডেনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল ‘নেত্র নিউজে’ ‘উহ্য ব্যবসা:সিঙ্গাপুরে তাবিথ আউয়ালের কোম্পানি’ শিরোনামে সংবাদে বলা হয়, সিঙ্গাপুরে ২০০৮ সালে যৌথ মালিকানায় নিবন্ধিত এনএফএম এনার্জি কোম্পানির ১০০০টি শেয়ারের মধ্যে ৩৪০ শেয়ারের মালিক তাবিথ আউয়াল।
এ ছাড়া বাকি ৬৬০ শেয়ারের মালিক তাবিথ আউয়ালের দুই ভাই তাসফির আউয়াল এবং তাজওয়ার আউয়াল। কিন্তু তাবিথ আউয়াল নির্বাচনী হলফনামায় তার মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণাধীন যে ৩৭টি কোম্পানির তালিকা দিলেও বিপিসিএল ও এনএফএমের নাম উল্লেখ করেননি হলফ নামায়। যা নির্বাচনী আইন ও বিধির লঙ্ঘন। এছাড়া ভারতের গুয়াহাটি থেকে প্রকাশিত নিউজ পোর্টালে ‘বাংলাদেশ এক্সপোজ ট্রাবলস বিএনপি মেয়র ক্যান্ডিডেট’ শিরোনাম করা হয়।
এমন খবরে ফেসে যেতে পারেন দুদকের আইনেও, সোমবার সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান জানান, গত হলফ নামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমাদের কোনো ভয় নেই। আপনারা দেখেছেন কাউকে ডাকতে আমাদের কলম কাঁপেনি। নির্বাচন আসছে, তাই এই পর্যায়ে আর কিছু বলতে পারছি না।
নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান তদন্তে প্রভাব ফেলবে না বলে জানান তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন করুক বা না করুক আমরা কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না।
ক্যাসিনোকান্ডে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে এখন পর্যন্ত দু শতাধিক ব্যক্তির তালিকা হয়েছে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান কলেন, পিএস এপিএসরা যদি তাদের বক্তব্যে রাঘব বোয়ালদের নাম উল্লেখ করেন তবে তাদেরও দুদকে আসতে হবে।
