সেই তোফাজ্জল এমপি হতে চায়!

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক :  দখলবাজ, ভূমিদস্যু, ধর্ষণ মামলার আসামি দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়নের সাবেক ব্যর্থ চেয়ারম্যান এস এম তোফাজ্জল হোসেন এখন এমপি হওয়ার খায়েশ নিয়ে মাঠে নেমেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে নিজের পরিবারের সদস্যদের জমি দখল, বিচারের নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে টর্চার সেল ও জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ রয়েছে মাদকাসক্ত তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে।


বিজ্ঞাপন

বেসরকারি টেলিভিশন ৭১ টিভিতে প্রচারিত একটি অনুসন্ধান মূলক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ওই চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন সূত্রে জানাযায়, এলাকায় জমি নিয়ে কোন বিরোধ হলেই তোফাজ্জল চেয়ারম্যানের লোকজন তাদেরকে নিয়ে আসতেন পরিষদে। সমাধান করে দিবেন বলে ঘুরাতেন মাসের পর মাস। প্রতি সপ্তাহের শনিবারে বসতো তার দরবার। বিচারের তারিখ পেলেও দরবারে বিচারের নামে চলত টর্চার। ভয় দেখিয়ে বাদি-বিবাদি উভয় পক্ষ থেকেই টাকাসহ জমিও কেড়ে নিতেন এই চেয়ারম্যান।

তোফাজ্জল চেয়ারম্যান ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় থেকেই দক্ষিণখানের রাস্তাঘাট রূপ নিয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে। তার অবহেলায় মানুষের চলাচলের অযোগ্য ওখানকার রাস্তাঘাট। দক্ষিণখানের কোনো রাস্তাই স্বাভাবিকভাবে কোন গাড়ি বা মানুষের চলাচলের উপযুক্ত নয়। তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালে উন্নয়নে মন না দিয়ে ব্যস্ত ছিলেন দখল, চাঁদাবাজি, মদ ও জুয়ার নেশায়।


বিজ্ঞাপন

চেয়ারম্যান থাকাকালে তোফাজ্জল সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন পুরো এলাকা জুড়ে। তিনি নিজেই রক্ষক হয়ে শুধু ভোগ করে গেছেন। দক্ষিণখানে চলাচলকারী হাজারের উপর অটো থেকে মাসে ১৬০০ টাকা করে নিয়েছেন। আপন চাচাতো ভাই নাজিমুদ্দিনের ছেলে কুতুব উদ্দিনদের ৪৮ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে কুতুবুদ্দিন জানান, মোজাম্মেল হক শিক্ষা কমপ্লেক্স এর ভিতরে তাদের জমি ছিল। রাতের আধারে লোকজন নিয়ে তাদের জমিতে বাউন্ডারি করেন তোফাজ্জল। তারা প্রতিবাদ করায় তাদের উপরে হামলা ও নির্যাতন চালায়। মামলার ভয় ভীতি দেখায়। মসজিদের ইমামতির চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।

অন্যের জমির ভুয়া কাগজ তৈরি করে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে। আক্কাস আলী ও আনার আলি নামের দুই ব্যক্তি তার এলাকায় বসবাসের জন্য জমি কিনেন। দশ বছর পর বাড়ি করার সময় ব্যাংকের লোক এসে হাজির হয়। তল্লাসী দিয়ে তারা জানতে পারেন তোফাজ্জল ও তার লোকেরা ভুয়া দলিল বানিয়ে সেই দলিল দিয়ে ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা উঠিয়ে আত্মসাৎ করেন। ঈদগাহ মাঠ বড় করার জন্য বিনা নোটিশে বাড়ি ঘর ভেঙে পরের জমি দখল করেন তোফাজ্জল। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব বাধা দিল তাকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেও বছরের পর বছর ঘুরেও কোন ক্ষতিপূরণ পাননি এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

২০০৩ সালে উত্তরা থানায় তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে মামলা করেন লিপি আক্তার। তার ইটের ভাটা থেকে ইট ও অন্যান্য মালামাল এনে প্রায় তিন কোটি টাকার মতো বাকি করে ফেলেন তোফাজ্জল। লিপি টাকা চাইলেই বিভিন্ন হুমকি ধামকির শিকার হন। মামলা করার অপরাধে লিপিকে ধর্ষণ করা হয়। লিপি বলেন, লম্পট তোফাজ্জল আমাকে ধর্ষণ করে এবং আমার শরীর কামড়ে ছিড়ে ফেলে। এক কাপড়ে স্বামী-স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে হোটেলে আশ্রয় নিলেও তোফাজ্জল আমার স্বামীকে কোর্টে পাঠিয়ে সেখানে ধর্ষণ করে।

তবে এই সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে এস এম তোফাজ্জলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। দাবি করেছেন সকল অভিযোগ মিথ্যা।

👁️ 2 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *