নিজস্ব প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছা উপজেলাধীন কপিলমুনির রেজাকপুর বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন কালে টাকা ও দলিল আত্মসাৎকৃত টাকা ও দলিল ফেরত চাওয়ায় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বহু অপকর্মের হোতা রেজাউল ও জাইদুল।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কপিলমুনির ইউপির রেজাকপুর গ্রামে। সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দাতা রেজাউল সরদার ও তার ভাই জাহিদুল সরদারকে গ্রেফতার করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও মসজিদের মুসল্লিরা জানান, রেজাকপুর বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে জোরপূর্বক চার বছর মসজিদ কমিটির দায়িত্ব নেয় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রেজাউল সরদার। সেই থেকে মসজিদের টাকা তার কাছে জমা রাখতো। ২০২২ সালের শেষ দিকে নতুন কমিটি গঠন হলে হিসাবে রেজাউল সরদারের কাছে প্রায় ৮৪ হাজার টাকা পাওনা থাকে। নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের সময় সুকৌশলে মসজিদ থেকে দলিল নিয়ে বাড়িতে রাখে রেজাউল। এর পর থেকে দলিল ও টাকা না দিয়ে কমিটির নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব পালন করতে হুমকি দিতেন রেজাউল।
সম্প্রতি খুলনা জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দের টাকা তুলতে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দলিল চাইতে গেলে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’এর খুলনা বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এবং বর্তমান রেজাকপুর বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক শেখ সেকেন্দার আলীকে হাড় পা ভাঙ্গা সহ জীবননাশের হুমকি দেয় হত্যা মামলার আসামি রেজাউল সরদার ও তার ভাই জাইদুল সরদার।
ঘটনার বিষয়ে রেজাউল সরদার জানান, দলিল আমি অবশ্যই ফেরত দিবো, ইতিমধ্যে চেয়ারম্যানের সাথে আমার মুঠোফোনে কথা হয়েছে, তিনি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে ঘটনাটির নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছেন।
সাংবাদিককে হত্যার হুমকির বিষয়ে রেজাউল সরদার এর ভাই জাহিদুল সরদারের ব্যবহৃত মোবাইল নং- ০১৯৪২-০৬৪৬৫৫ এ একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনটি রিসিভ করেন কিন্তু হ্যালো হ্যালো করে লাইন কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ারদার জানান, ঘটনাটি শুনেছি, তবে ঘটনাটি খুবই নেক্কারজনক। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ওসি ওবাইদুর রহমানের সাথে আমার কথা হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে রেজাউল সরদারকে শনিবারের মধ্যে মসজিদের দলিলটি ফেরত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে হুমকির ঘটনার সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা করা হবে।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র কেন্দ্রীয় বিভাগীয় ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সকল সদস্যবৃন্দ ও রেজাকপুর বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।