জননেত্রী শেখ হাসিনা সমীপে আকুল আাবেদন শরীয়তপুরবাসীর

বিবিধ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,


বিজ্ঞাপন

মানবতার মা,কওমি জননী,জননেত্রী শেখ হাসিনা সমীপে আকুল আাবেদন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও আওয়ামী রাজনীতীর উর্বর ভূমি বা রাজধানী হিসেবে খ্যাত গোপালগঞ্জ এর পরেইযার অবস্থান শরীয়তপুর জেলা। স্বাধীনতার পর প্রতিটি গনতান্ত্রিক নির্বাচনে এই এলাকার সহজ সরল জনগণ বঙ্গবন্ধু,আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনা প্রশ্নে কখনোই আপোষ করেনি,তার কারনে জনগণ কে অনেক খেসারতও দিতে হয়েছে,১৯৯৬ সালের পূর্বে সমগ্র  শরীয়তপুরে কেবল একটি  রাস্তা আধাপাকা ছিল,সেই সময়ের স্বৈরাচার সকারগুলো উন্নয়ন, চাকুরীর ক্ষেত্রে  শরীয়তপুরের জনগনের সাথে পাকিস্তানের মত বৈষম্য তৈরী করে রেখেছিল,আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রায় সবগুলো রাস্তা পাকা হয়েছিল,স্কুল,কলেজ,মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দির গুলোতপ উন্নয়নের ছোয়া লেগেছিল তা ৯৬ পরে মরহুম জননেতা আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের হাত ধরেই হয়েছিল। যা ২০০১ পরবর্তী সময়ে সকল উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল,তারপর আবার আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর শরীয়তপুরবাসী আশায় বুক বেধেছিল,কিন্তুু কোন অদৃশ্য কারনে কাংখিত উন্নয়ন থেকে এখানের জনগন বঞ্চিত হয়েছে তা জানা নেই,যার জন্য নড়িয়া,জাজিরার মানুষ পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়ে ভিটেমাটিহারা হয়েছে,অবশেষে আপনিই আমাদের দিকে তাকিয়েছেন যার ফলস্রুতিতে একনেকে বেরীবাধ প্রকল্প পাশ হয়েছে এখন তা দৃশ্যমান, আশাকরি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই কাজ শেষ হবে। সারাদেশে যখন আপনার হাত ধরে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটল সেই সময়ে শরীয়তপুর জেলা উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারতো,যদি সারাদেশের ন্যায় এখান সুষম উন্নয়নটুকুও হতো তবুও স্বান্তনা পাওয়া যেত, দুঃখের বিষয় শরীয়তপুরবাসী তা থেকেও বঞ্চি। টানা তৃতীয়বার আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর শরীয়তপুরবাসী নতুন করে আশায় বুক বেধেছে,কিছু কিছু বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে, মাননীয় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী জনতার নেতা একেএম এনামুল হক শামিম এমপি মহোদয় দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন,জননেতা ইকবাল হোসেন অপু এমপি মহোদয় ও জননেতা নাহিম রাজ্জাক এমপি মহোদয় কে সাথে নিয়ে আধুনিক ও সমৃদ্ধ শরীয়তপুর গড়তে,তিনি ইতিমধ্যে সংসদে শরীয়তপু, চাদপুর সংযোগে মেঘনা নদীর উপর সেতুর দাবী তুলেছেন,চাদপুর,শরীয়তপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নিতকরনে একনেকে ৮৫৯ কোটি টাকা পাশ করিয়েছেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিগত দিনে সকল দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া শরীয়তপুরবাসীর চাও একটু বেশিই,তাই আপনার নিকট সবিনয়ে আবেদন পদ্মা সেতুর শরীয়তপুর সংযোগ সড়ক চারলেনে উন্নিত করা হউক এবং রেললাইন শরীয়তপুরের ডামুড্যা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হউক,কীর্তিনাশা নদী ও পদ্মার শাখানদী যা শুরেশ্বর থেকে ভায়া কার্তিকপুর হয়ে ডামুড্যা দিয়ে বরিশালে মিলিত তা মৃতপ্রায়,অতিদ্রুত ড্রেজার দিয়ে নাব্যতা ফিরিয়ে আনলে যা পায়রা সমুদ্রবন্দর পুরোপুরি চালু হলে এই অঞ্চলের ব্যাবসা বানিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে, এবং শুরেশ্বরে আধুনিক টার্মিনাল স্থাপন করলে যা দক্ষিণবংগের অন্যতম নদীবন্দরে পরিনত হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর শরীয়তপুর, মাদারীপুরের সুবিধামত যায়গায় নির্মান করার দাবী জানাই, শিক্ষা,স্বাস্থ্য,খেলাধুলার পিছিয়ে থাকা  শরীয়তপুরবাসীর দাবী একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়,একটি সরকারী মেডিকেল কলেজ,একটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,একটি সরকারী মাদ্রাসা এ থেকে অন্তত দুইটি বাস্তবায়ন করার জোর দাবী আপনার নিকট পেশ করছি। পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।  জয়বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু,জয়তু শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ চিরজীবী হউক

নিবেদক
অবহেলিত শরীয়তপুরবাসীর পক্ষে,চৌধুরী সাখাওয়াত হোসেন রনী সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী, নড়িয়া,শরীয়তপুর 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *