বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তারেক টেমস নদীর ওপার থেকে বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নির্দেশ দিয়েছে।’গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারি খেলা হবে, খেলা হবে। ৭ তারিখে খেলা হবে, ফাইনাল খেলা হবে। বিএনপি কোথায় পালিয়েছে। ফাউল করে লালকার্ড, পালিয়েছে বিএনপি। এখন বোমা মারবে। তারেক টেমস নদীর ওপার থেকে নির্দেশ দিয়েছে বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। ওদের আন্দোলন ভুয়া।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘লুটপাট, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুর্নীতিবাজ, লুটেরারা সাবধান। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ৭ জানুয়ারি সারাদিন, সকাল-সন্ধা খেলা হবে। সোনামগঞ্জ, সুন্দরবন, কুতুবদিয়া, তেতুলিয়া সারাদেশে খেলা হবে একসাথে।’
তিনি বলেন, ‘বেকার যুবকদের জন্য ১ কোটি কর্মসংস্থান হবে। প্রতি বছরে ২০ লাখ করে এক কোটি। এটা তোমাদের জন্য শেখ হাসিনার উপহার।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতিকে সাধারণ ছাত্রদের মাঝে আকর্ষণীয় করতে হবে। আজকে শুধু ছাত্রলীগ থাকবে, সাধারণ ছাত্ররা থাকবে না সেটা অর্থহীন। স্মার্ট মানে ভাষণ দেয়া নয়। গতানুগতিক ভাষণ দিয়ে ১৯৪৮ থেকে শুরু করলাম, এটা এখন আর কেউ শুনে না। বলতে হবে চোখের ভাষা, মনের ভাষা। বুঝতে হবে চোখের ভাষা, মনের ভাষা। যেই কথা শুনতে চাইবে, সেই কথা বলতে হবে। যে কথা ঐক্য করবে সেটাই বক্তৃতা।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ ছেলে মেয়েদের বুঝাতে হবে, ভালোো লোকদের হাতে থাকলে ভালো হবে। খারাপ লোকদের হাতে থাকলে ভালো লোকের নাশ রাজনীতি মূল্যহীন হয়ে যাবে। রাজনীতিতে মেধাবীরা আসতে হবে। তা না হলে দেশের রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে। চরিত্রবানরা রাজনীতি আসতে হবে, না হয় রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভালো লোক ক্ষমতায় আসলে, এমপি হলে, মন্ত্রীনহলে দেশ ভালো ভাবে চলবে। খারাপ লোকেদের হাতে দেশ খারাপ হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, গৎবাঁধা মুখস্থ বক্তব্য করে নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে নেতৃত্বের গুনাবলি অর্জন করতে হবে। ৭-৮ টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অফিসে আড্ডা দেয়ার দরকার নেই। পড়াশোনা কর। যতই পড়বে ততই শিখবে। নেতৃত্বের কোয়ালিটি অর্জন করতে হবে। পড়াশোনা করতে হবে।
এ সময় তিনি ছাত্রলীগের প্রাক্তন ও বর্তমান নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।