নিজস্ব প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর নিউজ সংগ্রহের কাজ চলাকালীন সময়ে সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া পালাশ এর উপর সন্ত্রাসী হামলা ও তার কাছ থেকে দুটি এন্ড্রয়েড ফোন জোড় পূর্বক ছিনিয়ে নেয় দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস) সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারী শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার সময় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের জয় বাংলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সদস্য, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক কাগজ ও দৈনিক আমাদের নতুন সংবাদ এর জেলা প্রতিনিধি। এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া পলাশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
উক্ত মামলা সুত্রে জানা যায়, -চর ঈশ্বরদিয়া আঃ বারেক মন্ডলের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন পাভেল (২৬), ও চর আনন্দীপুরের আঃ জলিল বকুল এর ছেলে আতিকুর রহমান রাহাত (৩৬) এর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী আক্রমণ করে।
এ বিষয় সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া পলাশ বলেন, গত ৬ জানুয়ারি নির্বাচনের আগের দিন রাত অনুমান ১১ টা ৫ মিনিটের সময় দ্বাদশ সংসদ নিবার্চন প্রচারনার জন্য ট্রাকগাড়ী মার্কার প্রতিক আমিনুল হক শামীম কোতোয়ালী মডেল থানাধীন জয়বাংলা বাজার এলাকায় গেলে আমি সংবাদ পেয়ে গত রবিবার ৭ জানুয়ারি রাত অনুমান ১২ টা ১০ মিনিটের সময় জয়বাংলা বাজারে গিয়ে মোবাইলে ভিডিও করলে উল্লেখিত বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা বেআইনী জনতাবদ্ধে একই উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।
তখন আমি বিবাদীদের গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে বিবাদীরা আমাকে এলোপাথারীভাবে কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা-ফোলা জখম করে। ০১নং বিবাদী রাস্তায় পড়ে থাকা লাঠি দিয়া আমার হাত, পা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আগাত করে এবং জখম প্রাপ্ত হই, আমার সাথে থাকা মোবাইল REALME C21Y, যাহার মূল্য অনুমান ১৪,৪৯০/- (চৌদ্দ হাজার চারশত নব্বই) টাকা ও OPPO মোবাইল, যাহার মূল্য অনুমান ১১,০০০ (এগার হাজার) টাকা নিয়ে যায়।
তখন আমার ডাক চিকিৎকারের আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা হুমকী দিয়া যে, বেশি বাড়াবাড়ি করিলে আমাকে সময় সুযোগ মত পাইলে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলবে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করানো হয়।
এ বিষয়ে পরের দিন সোমবার ৮ জানুয়ারী বিকেলে কয়েকজন সাংবাদিক নিয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া পলাশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন।
অভিযোগ দেওয়ার পর এই পর্যন্ত কোন আসামি ধরা পরে নাই।
উক্ত হীন ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় ও সকল বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে আসামীদের গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী জানান নেতৃবৃন্দ।