গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবক কে কুপিয়ে জখম

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী, (গোপালগঞ্জ) : গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে বরকত আলি মোল্লা নামের এক যুবকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া ইমদাদুলের মোড় এলাকায় ।


বিজ্ঞাপন

এঘটনায় আহত বরকত আলি মোল্লা বাদী হয়ে  গোপালগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহ আলম মোল্লা (৪০) সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বর্ণনা ও বাদী বরকত মোল্লার সাথে আলাপ করে জানা যায়, ১নং আসামি শাহ আলম মোল্লার গ্রাম শুকতাইল মোল্লা পাড়া ৯নং ওয়াড  বোন ববিতা বেগমের সঙ্গে বাদীর বড় ভাই  পারভেজ মোল্লার সাথে টাকা পয়সার লেনদেন থাকার সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে ববিতা বেগম তার ভাই শাহ আলম মোল্লা সহ তাদের ভাড়া করা মাস্তান বাহিনী নিয়ে মাস্টার পাড়া ইমদাদুলের মোড় এলাকায় বরকতের বাড়ীতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি ধামকি দেয়। এসময় বরকত মোল্লা প্রতিবাদ করলে শাহ আলম মোল্লার নির্দেশে অজ্ঞাত আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বরকতের ওপর এলোপাথাড়ি হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে হামলা কারিরা একটি মোবাইল ও নগদ ১০ হাজার টাকা সিনিয়ে নেয়।

মামলার বাদী ও ভিকটিম মোঃ বরকত আলী মোল্লা সাংবাদিকদের কাছে ভিডিও বক্তব্যের মাধ্যমে অভিযোগ করে বলেন, ববিতা বেগম একজন নষ্ট মহিলা, তার স্বামী সন্তান থাকার পরেও সে বিভিন্ন পুরুষ ছেলেদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরবর্তীতে ওই পুরুষকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। সে আমার বড় ভাই পারভেজ মোল্লার সাথেও তাই করেছে। আমার ভাইয়ের টাকায় দীর্ঘদিন সংসার চালিয়েছেন, মাল্টিপারপাস ব্যবসাটাও চুষে খেয়েছে। এখন উল্টো টাকা পাওয়ার নাটক সাজিয়েছে।

এবিষয়ে মামলার আসামি শাহ আলম মোল্লা ও বোন ববিতা বেগম  মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মারিদুল ইসলাম জানান, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে।গোপালগঞ্জ ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কার্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহনের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *