নিজস্ব প্রতিবেদক : এইচ-১ ফ্লাট দখল করে রেখেছে নূর বিল্ডার্স মালিক, রাজউককে অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি রামপুরার সবুজবন নূর টাওয়ারের ফ্ল্যাট মালিকগণ। রামপুরা নতুনবাগ লোহার গেট ১৩৮৩/৮/১৫/৩ সবুজবন নুর টাওয়ার। পাঁচজনের কাছ থেকে সাড়ে ৩৬ কাঠা ও দুজনের কাছ থেকে ১৪ কাঠা জায়গা নিয়ে মোট ৫০ কাঠায় দুইটি ১৬ তালা করে বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করেছে নূর বিল্ডার্স লি: রাজউকের পাশ করা নকশা পরিবর্তন করে।
বিশাল এই অট্টালিকার ১৯৬টি ফ্ল্যাটের জন্য মাত্র ১টি গেট যা মানুষ এবং গাড়ি প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ব্যবহার হচ্ছে। আর রাজউকের নকশার অন্য গেটগুলো বন্ধ করে তৈরী করা হয়েছে দোকানপাট।ভূমিকম্প বা অগ্নিকাণ্ডের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে এই ১৯৬টি ফ্লাটের পরিবার একটি মাত্র গেট দিয়ে জরুরী বের হওয়া কোন মতেই সম্ভব নয়।রাজউকের নকশা ও ডেভেলপার ব্রুশিয়ারেও দুইটি আলাদা ভবনে ঢুকা এবং বের হওয়ার দুইটি আলাদা রাস্তা ছিল। যা নূর বিল্ডার্স ডেভেলপার রাস্তা বন্ধ করে অবৈধ দোকানপাট বানিয়েছে।
এছাড়াও বেজমেন্ট সহ ১৫ তলার স্থলে নকশা বহির্ভূত ১৬ তলা ভবন নির্মাণ এবং তার উপর আরো কক্ষ নির্মাণ করে। এতে পুরো বিল্ডিং এর উপর অতিরিক্ত লোড পড়ছে। এমনকি ১৬ তলা ভবনের ছাদে অতিরিক্ত রুম করে কমিউনিটি হল নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে যা রাজউক আইনের পরিপন্থী।
সম্পূর্ণ আবাসিক বিল্ডিং হিসেবে রাজউক অনুমোদন দিলেও নূর বিল্ডার্স লি: অবৈধ দোকান তৈরী করেছে। এই অবৈধ দোকানগুলো যেমন বিল্ডিং এর সৌন্দর্য নষ্ট করছে, পাশাপাশি বিল্ডিংটিকে মৃত্যুুকুপ বানিয়েছে। ঘটনা তদন্তে দেখা যায় সবুজবন নূর টাওয়ারের ফ্ল্যাট মালিকগণ এ নিয়ে রাজউকে অভিযোগ নিস্পত্তি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দাখিল করেছিল যার কেস নম্বর ২০২৩৩৩৬৬০০৫৬৪, ট্র্যাকিং নম্বর : ১৬৮১৩৮১৪৬১৬৪৫ তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০২৩। কিন্তু অদৃশ্য কারণে রাজউক কোন পদক্ষেপ নেয় নাই।এদিকে রাজউকের বর্তমান পরিদর্শক তুষার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি আমি পরিদর্শনে গিয়েছি দোকানপাট এবং নকশা নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে । এলাকার মানুষ জানায় অনেক প্রভাবশালী বড় বিল্ডার্স হওয়ায় নূর বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে হয়তো কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে মনে হয়!
৫০ কাঠার বিশাল ১৬ তলার ২টি বিল্ডিং এর ১৯৬টি ফ্ল্যাটের জন্য কোন কমিউনিটি হল নাই, বিল্ডিং এর বিভিন্ন জায়গায় ভয়েড স্পেস বন্ধ করে অবৈধভাবে ফ্ল্যাটের সাইজ বড় করা হয়েছে, পার্কিং স্পেস বন্ধ করে সামনে দোকানপাট নির্মাণ করা হয়েছে। ভবন নির্মাতা নূর বিল্ডার্স অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় ১৬ তলায় নির্মিত ফ্ল্যাটের অংশ মালিকদের মধ্যে বন্টন করেনি। এমনকি প্রভাবশালী এই নূর বিল্ডার্সের সাথে সংশ্লিষ্ট থানার সাবেক জনৈক্য ওসি ও পুলিশের আত্মীয় দিয়ে এইচ ওয়ান ফ্ল্যাটটি দখল করে রেখেছে। আসা যাওয়ার পথে এলাকাবাসী এই মৃত্যুকুপ ফ্ল্যাটটির পাশ দিয়ে ভয়ে হাটে না।
কিন্তু রাজউক এখনো নির্বাক কেন এলাকাবাসী জানতে চায়। অনুসন্ধানে সাংবাদিকদের একটি অনুসন্ধানী টিম নুর বিল্ডার্সে ম্যানেজারের সাথে দেখা করলে তিনি ওই টিমকে জানান রাজউক নিয়ম মেনে বিল্ডিং করেছি ল্যান্ড মালিকদের সাথে দেনা পাওনা নিয়ে ঝামেলা চলছে সত্য, ঠিক হয়ে যাবে।
নূর টাওয়ারের ল্যান্ড মালিক অংশীদার বাশার আলী বাসিরের সাড়ে তিন কোটি টাকা পাওনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সঠিক উত্তর দিতে পারে নাই নূর বিল্ডার্স। বিল্ডিং কোড মেনে কাজ করেছেন কিনা এ ব্যাপারে সঠিক উত্তর জানাতে পারেনি। এতোদাসংক্রান্ত বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে , এবিষয়ে নতুন কোন ভুক্তভোগী থাকলে তারা আজকের দেশ ডটকম এর সম্পাদক এবং প্রকাশকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা গেলো।