নইন আবু নাঈম, (বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় ২০ পরিবারকে জিম্মি করা ৬০ বছরের পুরানে রাস্তার উপর তৈরি করা দেয়ালটি উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও অফিসার ইনচার্জ-এর সহযোগীতায় ভেঙে ফেলা হয়েছে। বুধবার ২৪জানুয়ারি বিকেলে জনগণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে রাস্তাটি এবং জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেলো ২০ পরিবার।
গত ১৯ জানুয়ারি উপজেলার রাজেশ্বর গ্রামের লাকুডতলা এলাকার বাসিন্দা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন খান তার নিজস্ব বাড়ির সামনে তার ও প্রতিবেশি অন্য একজনের জমির উপর ২০ পরিবারের চলাচলের একটি রাস্তা সামনে দেয়াল দিয়ে আটকে দেয়। এ নিয়ে ওই এলাকাবাসির মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে ওই ২০ পরিবারের পক্ষে কয়েকজন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম শামিম ও শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এএইচএম কামরুজ্জামান খানকে বিষয়টি অবহিত করে।
পরে ২৪ জানুয়ারি বিকালে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত, ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম ও থানার ওসি এএইচএম কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর গ্রামের লাকুড়তলা এলাকায় যান।এ সময় ওই জমির মালিক দেলোয়ার খানের স্ত্রী তুলি বেগম নিজেদের বলে দাবি করেন।
পরে উভয়ের মধ্যে একটি সমজোতা হয় যে, ওই পরিবারগুলি রাস্তার জন্য বরাদ্বকৃত জমি তার ক্রয় করে নিবেন। পরে সমজোতার ভিত্তিতে রাস্তার উপর নির্মিত দেয়ালটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এব্যাপারে পরিবারের পক্ষের লোকজন জানান, সুবিধামতো সময় তারা জমিটি রেজিট্রি করে নিবেন।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম শামিম ও অফিসার ইনচার্জ এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, বিরোধপূর্ণ জমিতে তৈরিকরা চলাচলের রাস্তার বিষয়টি বিরোধীয় পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে পেরে আমারা কৃতজ্ঞ।