খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার এবং চাটমোহর উন্নয়ন ফোরাম কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সমাধিতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, আজ শুক্রবার ২৬ জানুয়ারি, সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটের সময় পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা এবং চাটমোহর উন্নয়ন ফোরাম গোপালগঞ্জ জেলার পূণ্যভূমি টুঙ্গিপাড়ায় মহান স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় পুলিশ কমিশনার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার শত্রু ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে শহীদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা মহান স্রষ্টার দরবারে দোয়া করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন-‘গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন স্থানগুলো দেখেন, বিশেষ করে জাতির জনকের আদি বাড়ি প্রায় ৪০০ বছর আগের পুরনো যার কিছুটা এখনও সংরক্ষিত রয়েছে।
এছাড়াও জাতির জনকের দুর্লভ বিভিন্ন ছবি ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতি বিজড়িত এলাকা পরিদর্শন শেষে হিজলতলা ঘাটে এসে সত্যি সত্যি আবেগে আপ্লুত হয়েছি।এখানে কথিত আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান সফল প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ছোট বেলায় হিজলতলা ঘাটের অনেক স্মৃতি রয়েছে।এই নদীটি খরস্রোত অনেক বেশি কিন্তু কালের বিবর্তনে কিছুটা তার খরস্রোত ভাব কমে গেছে। এখানে তিনি গোসল করতেন, বাল্যকালে শৈশবের উদ্দীপনা নিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তেন।
আমরা মনে করি, ইতিহাসের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ সৃষ্টি করেছিলেন এবং ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দেশটি পূর্ণগঠন করে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যার মুহূর্তে স্বাধীনতার পরাজিত অপশক্তি দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীদের চক্রান্তে সেদিন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘাতকের বুলেট শহীদ হয়েছিল।যারা জাতির জনককে হত্যা করেছিল তারা মনে করেছিল তারা জাতির জনককে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলবে।এই কারণে তারা বঙ্গবন্ধুকে শহরে কবর না দিয়ে টুংগীপাড়ার নিভৃত পল্লীতে কবর দিয়েছিলেন।
কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি এবং তাঁর আকর্ষণ, আদর্শ হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে ও নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। আজ গোপালগঞ্জের টুংগীপাড়া গোটা বাংলাদেশের মানুষের পূণ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে।বাংলাদেশের মানুষ সুখে-দুঃখে টুংগীপাড়াতে এসে জাতির জনকের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সূরা ফাতিহা পাঠ করেন দোয়া করেন। এভাবেই যত দিন যাচ্ছে জাতির জনকের আদর্শ ধারণ করে বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে এবং জাতির জনকের আরধ্য যে উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর কন্যার নেতৃত্বে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
এরপর খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে স্মৃতিচারণ মূলক স্তবক লিপিবদ্ধ করে স্বাক্ষর করেন। পরিশেষে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের স্মৃতি বিজড়িত শেখ পরিবারের আদি বাড়ি, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর এবং হিজলতলা ঘাট পরিদর্শন করেন।
এই শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পনকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী, লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান, খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন; আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান আল-মামুন; আরআই (কেএমপি) মো: আশরাফুল ইসলাম সহ-চাটমোহর উন্নয়ন ফোরামের সদস্য আব্দুস সামাদ, আখেজ উদ্দিন এবং মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উপস্থিত ছিলেন।