টাঙ্গাইলে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও তার বয়োবৃদ্বা মাতার উপর বসতঘরে ঢুকে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি (টাঙ্গাইল) :  টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ভেঙ্গুলা বাজারের পশ্চিমে বেরিপোটল গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও তার বয়োবৃদ্বা মাতার উপর বসতঘরে ঢুকে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও তার বয়োবৃদ্বা মাতার উপর বসতঘরে ঢুকে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা ভয়াবহ ঘটানাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ভেঙ্গুলা বাজারের পশ্চিমে বেরিপোটল গ্রামে ।সেখানে গিয়ে জানা যায় বছির উদ্দিন সরকারের তিন পক্ষের সন্তানদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এই সন্ত্রাসী হামলা হয় । গত কিছুদিন আগে উল্লেখিত বিষয় নিয়ে শালিসী বৈঠক হয়।

শালিসী বৈঠকে পরের পক্ষের সন্তানদের জমির সঠিক হিসাব বুঝিয়ে নাদিয়ে বলে যে,তোদের কাছে জমি পাই ।মাতাব্বরগন বারবার হিসাব করেও এর সত্যতা খুজে পায়নাই ।উল্টা আরও জমি কম হিসেব দেখিয়ে পরের পক্ষের সন্তানদের তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বন্চিত করে ।এতেও তারা ক্ষান্ত হননি আরেক পক্ষের একমাত্র বোন সেলিনার সন্তানদের ও বোন জামাইকে বলে তোমরা জমি পাবে ।

এই জমির দাবী নিয়ে গত বৃহস্পতিবার  ২৫ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় প্রথমে সাখাওয়াত হোসেন সজিব পরের পক্ষের সন্তান সেনাবাহিনীর এলপিআরে থাকা সদস্য মোঃ ফরিদ আহমেদ এর নিকট জমি দাবী করে ।উনি সজিবকে বলে যে, জমি হিসাবে পেলে অবশ্যই পাবেন কিন্তু আমি একা এর সমাধান দিতে পারবোনা। আমাদের সকল ভাইবোন বসে এর সমাধান দিলে ভালো হবে কারণ সবাই তারা মালিক ।এতে সজিব রাজি নাহয়ে মামার উপর উত্তেজিত হয়ে যায়,তখন মামা বলে এখন ঘর থেকে বের হয়ে যাবি ।

সজিব ঘর থেকে বের হয়ে গিয়ে তাৎক্ষনিক সবার আগের পক্ষের সজিবের মামাতো ভাই মেহেদি হাসান সাগর,ফাহিম সরকার ও মামা চামেলী বেগমসহ চারজন রামদা ও ষ্টিলের পাইপ নিয়ে ফরিদ মেলিটারির ঘরে ঢুকে প্রথমে তার মাথায় সাখাওয়াত হোসেন সজিব রামদা দিয়ে কুপ দেয় , ফাহিম সরকার দা দিয়ে মাথার পিছনে কুপ দেয় ,ফরিদ মেলিটারীর বয়োবৃদ্ব অসুস্হ মাতা ফাতেমা বেগমকে ঘর থেকে পা  ধরে ছেচডিয়ে সজিব বেরকরে আনে তখন মেহেদি হাসান সাগর তার হাতে থাকা দা দিয়ে তার কপালে কোপ দেয় এবং চামেলী বেগম ষ্টিলের পাইপ দিয়ে এলোপাতাডি আঘাত করে ফাতেমা বেগমের কোমর  থেকে পা পর্যন্ত মারাত্বক জখম করে ।

তাদের আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন তাদের উদ্বার করে মধুপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা সেখানে জীবন মৃত্যেুর সন্দিক্ষনে আছে এবং চিকিৎসা চলছে ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *