নিজস্ব প্রতিনিধি নড়াইল : গত বছরের ১ জুন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা গেটের সামনে দিঘলিয়া ইউনিয়নের চৌকিদার বকুল হত্যার প্রতিবাদে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ইতিপূর্বে সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে।
চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন পূর্বের ওই নিউজ প্রকাশের জের ধরে চৌকিদার বকুল হত্যার মানব বন্ধনের শেষে সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাসকে পাশে ডেকে নিয়ে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এক পর্জায়ে চেয়ারম্যানসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী আজিজুর কে হকিস্টিক দিয়ে দাবড়িয়ে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে,পরে স্থানীয়’রা সাংবাদিক আজিজুরকে গ্রুতর আহত অবস্থান লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এঘটনায় আজিজুর বিশ্বাস লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে লোহাগড়া থানায় চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনসহ কয়েকজনকে আসামি করে লিখিত এজাহার জমা দেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন তার ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ দফাদার মো: আলমগীরকে বাদী করে সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস,মনির খান ও নয়ন কে আসামি করে একটি বানোয়াট মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে,যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন।
সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়ারম্যান এই মামলা করান।সাংবাদিক আজিজুর বিশ্বাস দীর্ঘদিন যাবত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছেন বলে সাংবাদিক মহলের দাবি। এদিকে,আজিজুর বিশ্বাস এর উপর হামলার ঘটনায় লোহাগড়া উপজেলার সামনে মানববন্ধন করেন স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলার সাংবাদিকরা, সেখানে ও মানববন্ধনে বাধা সৃষ্টি করেন,চেয়ারম্যান বোরহানউদ্দিনের সন্ত্রাসী বাহিনী’রা,পরবর্তীতে পুলিশ এসে উত্তেজিত পরিবেশ শান্ত করেন।
ওই দুই মামলার তদন্তকারী অফিসার ওসি অপারেশন মিজানুর রহমানকে সাংবাদিকদের মারধরের ভিডিও ফুটেজ হাসপাতালের সমস্ত কাগজ ও উপস্থিত সাক্ষীদের সব কিছু দেওয়া হয়,কিন্তু সেটা কি কাজে তিনি খাটিয়েছে সেটা জানা নেই সাংবাদিকদের।
এদিকে,প্রকাশ্যে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্ট সাংবাদিকরা চাঁদা চেয়েছেন,এমন একটি মিথ্যা চার্জসিট ওই তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রেরণ করেছেন।
তবে চাঁদাবাজি মামলা থেকে সাংবাদিক নয়নকে বাদ দেন ওই কর্মকর্তা। এমন কর্মকান্ডে সাংবাদিক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এ কেমন আইন,সাংবাদিক’রা অপরাধ না করেও সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা রেকোর্ড হয় থানায় এবং থানার পুলিশ কর্মকর্তা’রা সঠিক তদন্ত না করে উল্ট সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চার্জশিট প্রদান করেন,লোহাগড়া থানার ওসি অপারেশন মিজানুর রহমান।
এদিকে,লোহাগড়া থানার ওসি অপারেশন মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এক নারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ হয়,তবে এ বিষয়ে সাংবাদিক মো: আজিজুর বিশ্বাস এর সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন এর দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে একাধিক নিউজ প্রকাশ করেছি এর কারণে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিল,এবং আমি চৌকিদার বকুল হত্যার মানববন্ধনের নিউজ সবার আগেই প্রকাশ করেছি,আমি চৌকিদারের কাছে কোন চাঁদা দাবি করি নাই,এটা মিথ্যা,বানোয়াট।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজিজুর বিশ্বাস আরও বলেন,চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন উপজেলার দুর্নীতির শীর্ষে,সে আমার সাথে যে ঘটনা ঘটিয়েছে আমি এর সঠিক বিচার চাই।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন মিজানুর রহমান আমার নামে আদালতে মিথ্যা চার্জশিট দিয়েছে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি ওই মামলার পূর্ণ তদন্ত চাই বলেও জানান।
সাংবাদিকদের নামে মামলার বাদী গ্রাম পুলিশ আলমগীর এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি মামলা করতে চাইনি,আপনা’রা চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনের সাথে মিমাংসা করে নেন বলেও জানান।