নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী মোহাম্মদপুর থানাধীন শাহাজাহান রোডস্থ বাসা নং ২/৭ এর ৮/সি (৯ম তলা) ফ্ল্যাট থেকে উক্ত বাসার কাজের মেয়ে প্রীতি (১৫) বেলকনির থাই গ্লাসের ফাকা অংশ দিয়ে নিচে ২য় তলার টিন শেডের উপর পড়ে যায়। উক্ত বাসার ম্যানেজার আদেল মেয়েটিকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উক্ত ফ্ল্যাটের মালিক সৈয়দ আশফাকুল হক(৫৬),পিতা- সৈয়দ মাহাবুবুল হক, সাং- সৈয়দ মহল্লা, থানা- মাগুরা সদর, জেলা- মাগুরা। তিনি দ্যা ডেইলি স্টার সংবাদপত্রের নির্বাহী সম্পাদক।সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে ও মৃত কাজের মেয়ে সহ উল্লিখিত ফ্ল্যাটে বসবাস করেন।জিজ্ঞাসা বাদের জন্য সৈয়দ আশফাকুল হক সহ ফ্লাটে থাকা তার স্ত্রী কন্যাকে পুলিশ হেফাজতে মোহাম্মদপুর থানায় নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষ দর্শী মিজান (১৮) জানান সকাল সাড়ে ৮ টায় তিনি রিক্সা যোগে যাওয়ার সময় একটি মেয়েকে উক্ত বিল্ডিংয়ের নয় তলার বেলকুনি থেকে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পায় তৎক্ষনাৎ বিল্ডিংয়ের গার্ডকে বিষয়টি জানালে তিনি কোন তোয়াক্কা করেনি। তার শ্যামলিতে জরুরী কাজ থাকার কারনে সে চলে যায়।সকাল ০৮:১০ মিনিটে মেয়েটিকে যখন ফেলে দেওয়া হয় তখন একজন রিক্সার ড্রাইভার দেখতে পেয়ে দারোয়ানকে জানালে তিনি তাকে দুরদুর করে তারিয়ে দিলে রিক্সার ড্রাইভারের চিৎকারে এলাকার লোকজন ভবনটিকে ঘিরে ধরে। স্থানীয় লোকজনদের দেওয়া তথ্য পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ আসে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাওয়া যায় যে,প্রীতি আক্তার তিনদিন হলো তাদের বাসায় কাজে যোগ দেয়। স্থানীয়দের মতে তার বয়স ১২/১৩ বছর।শাজাহান রোডস্থ ৮/সি ভবনের সব তলার গ্রিল লাগানো থাকলে ও (৯)তলার ফ্লাটের বারান্দার গ্রীল কাটা। ইতি পূর্বেও এই বাসা থেকে আরো দুইটি শিশু কর্মীকে ফেলে দেওয়া হয় । তার মধ্যে একজন প্রানে বেঁচে যায় আরেক জনের মৃত্যু হয়। একাধিক সূত্রে জানা যায় সৈয়দ আশফাকুল হক এর উপর যৌনতা সংক্রান্ত সন্দেহের জেরেই এমনটি ঘটে।
মেয়েটিকে যখন ফেলে দেওয়া হয় তখন তার পরনে পায়জামা পাওয়া যায়নি।এমন ঘটনার জেরে র্্যব২ মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ এসবি ও গোয়েন্দা সংস্থা সদস্যরা অনুসন্ধানে তৎপর রয়েছে। ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায় জেনেভা ক্যাম্পের লোকজন বিচলিত হয়ে রয়েছে। ঘটনা স্থলে দেখা যায় তীব্র ক্ষোভে শিশু কিশোররা বাড়িটির কয়েকটা জানালার গ্লাস ইট পাথরের টুকরো দিয়ে আঘাত করে ভেঙে ফেলেছে।