মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে ককটেল বিস্ফোরণে ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী আহত, এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা গ্রামে ককটেল বিস্ফোরণে একজন ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ পায়। স্থানীয় ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার ( ৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১ টার দিকে লোহাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমীন বেগমের ভাসুর বাবর খন্দকারের বাড়ি থেকে ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ীরা টিন সাদৃশ্য কৌটা ও পরিত্যক্ত টায়ার ক্রয় করে। এরপর ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী ওই বাড়ি থেকে কিছু দুরে গিয়ে ওই ক্রয়কৃত মালামাল বাছাই করার সময় ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী নজরুল শেখের হাতে জর্দার কৌটা সাদৃশ্য বস্তু বিস্ফোরিত হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত নজরুলকে তার ভ্যান চালক লোহাগড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সুত্রে আরও জানা গেছে, আহত নজরুল শেখ (৫০) লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর গ্রামের মোঃ আয়েন উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গাড়ি ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। আহত নজরুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি লোহাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমীন খন্দকারের শ্বাশুড়ির (বাবরের মা) নিকট থেকে ৩’শ ৪৯ টাকার টিন,কৌটা ও পুরাতন টায়ার কিনে কিছু দুরে যেয়ে ওই ক্রয়কৃত মালামাল বাছাই করছিলাম। জর্দার কৌটাটি লোহার বাটখারা দিয়ে আঘাত করলে সাথে সাথে আমার হাতে বিস্ফোরিত হলে আমি গুরুতর ভাবে আহত হই। ওই ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বর রেহেনা বেগম বলেন,শব্দ শুনে রাস্তা এসে দেখি, লোকটি বোমা বিস্ফোরনে আহত হয়েছে।
আমি ও তার সহযোগী আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেই। লোহাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমীনের ভাসুর বাবর খন্দকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। তবে ককটেল বিস্ফোরণের কথা শুনেছি। কি ভাবে ঘটেছে তা আমি বলতে পারি না। লোহাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমীন বেগমের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই লোহাগড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করি। সাবেক মহিলা মেম্বার রেহেনার বাড়ির সামনে বোমা সাদৃশ্য টিনের কৌটা বিষ্ফোরিত হয়েছে বলে জানতে পারি। ঘটনা জানার পর আমি লোহাগড়া থানাকে অবগত করি। এলাকার সাধারণ মানুষের ধারনা,যেকোন ধরনের নাশকতা ও সংঘাতের জন্য এ সব ককটেল এলাকায় আনা হয়েছিল। প্রশাসনের উচিত সঠিকভাবে তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাঞ্চন কুমার রায় বলেন,এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কাউকে সনাক্ত করা সম্ভব হয় নাই।