মো:রফিকুল ইসলাম,(নড়াইল) : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের চর পাচাইল গ্রামে পাচাইল পরানপুর আছিয়া মকবুল মাদ্রাসার নবনির্মিত ভবনটি গুড়িয়ে দিলো দূবৃত্তরা।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে গত বৃহস্পতিবার ১৪ ফেব্রয়ারী সকাল ১১ টার দিকে একই গ্রামের ২০/২২ জনের এক দল দূবৃত্ত দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নির্মাধীন মাদ্রাসায় হামলা করে ভেংগে গুড়িয়ে দেয়। এসময় কর্মরত ঘরমিস্ত্রি প্রভাশ চন্দ্র বলেন,দূবৃত্তরা আমাদেরকে হামলা করেছে এমন কি আমার সহকর্মীকে ড্রীল মেসিন দিয়ে আঘাত করে আমাদের যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়।
তখন আমরা কাজ বন্ধ করে দেই। এঘটনায় ওই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা মওলানা শাফায়াত হুছাইন বলেন,আমার বাবা ও মায়ের ওসিয়াত মোতাবেক নিজের জমিতে মাদ্রাসা নির্মান শুরু করি।জানিনা আমার গ্রামের মাসুদ কাজি,লিটন কাজি,ইমরান,আরমান,রুস্তম মোল্যা সহ ২০/২১ জনের একদল সন্ত্রাসী আমার মাদ্রাসায় হামলা করে নির্মাণাধীন মাদ্রাসা টি ভেংগে মাটির সংগে মিশিয়ে দিয়েছে।
আমি এদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করছি। ওই ওয়ার্ডের মেম্বার ফায়েক খানসহ এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা ন্যাক্কার জনক ঘটনা,আমরা এর প্রতিবাদ জানায় এবং যারা এঘটনার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার জোঁর দাবী জানাই।
এঘটনায় হামলাকারীদের গডফাদার মাসুদ কাজি ও রুস্তম মোল্যার সংগে যোগাযোগ করা হলে,মাসুদ কাজি বলেন,আমি পরে কথা বলবো। রুস্তম মোল্যার মোবাইলে ফোন করলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে বলেন, রুস্তম বাড়িতে নাই।
আরো জানা যায়,রুস্তম মোল্যার নামে পরানপুরের মহাসিন হত্যা মামলাসহ একাধিক ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে। ইতনা ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা পংকজ কুমার বলেন,মাদ্রাসা টি যে জায়গায় নির্মিত হয়েছে সেই জায়গার মালিক ওই গ্রামের মৃত-মকবুল হোসেন গাজীর ছেলে মাওলানা সাফায়েত হোসেনের।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কান্চন কুমার রায় বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।