১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনুর্ধ ১৪ বছরের সাজার বিধান রেখে ঔষধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩ এর অনুমোদন 

Uncategorized আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক  :   প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে “ঔষধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩” শিরোনামে খসড়া আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে।


বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এঁর নেতৃত্বে ও তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেল।

আইনটির খসড়া প্রস্তুতকরণে বিশেষকরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, অতিরিক্ত সচিব মো: এনামুল হক, পরিচালক মো: আসরাফ হোসেন, পরিচালক মো: সালাহউদ্দিন, উপপরিচালক মো: নুরূল আলম, সহকারী পরিচালক সৈকত কুমার কর গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করেন।

উল্লেখ্য, ঔষধ ও কসমেটিকস্ এর উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, বিক্রয়, মজুত, সংরক্ষণ, প্রদর্শন, বিতরণ ও মান নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে এবং সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন-২০১১ মোতাবেক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তের আলোকে সকল প্রকার আইন বাংলায় ভাষান্তরিতকরণ এবং সামরিক শাসন আমলে প্রণীত অর্ডিন্যান্সসমূহ রহিত করার বাধ্যবাধকতা থাকায় The Drug Acts, 1940 এবং The Drugs (Control) Ordinance, 1982 কে একীভূত করে অন্যান্য দেশের ঔষধ আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণপূর্বক বাংলায় যুগোপযোগী ‘ঔষধ আইন, ২০২২’-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়।

আইনের খসড়াটি যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের মতামত গ্রহণপূর্বক সর্বসাধারণের মতামত গ্রহণের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। মন্ত্রিসভা-বৈঠক কর্তৃক কিছু দিকনির্দেশনা পালন সাপেক্ষে ‘ঔষধ আইন, ২০২২’-এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়।

প্রস্তাবিত আইনে ৮২টি ধারা ও ১টি তফসিল রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ঔষধ উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, বিক্রয়, মজুত ও বিতরণ শাস্তিযোগ্য আপরাধ হিসেবে পূর্বের আইনের তুলনায় বর্তমানে শাস্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে অপরাধকে আমলযোগ্য (Cognizable) এবং অ-জামিনযোগ্য (Non-bailable) করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ঔষধ আইনের তফসিলে অপরাধের ধরণ এবং শাস্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তাছাড়া, অসৎ উদ্দেশ্যে ঔষধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক মুনাফার অভিপ্রায়ে ঔষধ মজুত করা হলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড অথবা অনুর্ধ্ব ১৪ (চৌদ্দ) বৎসরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা অনাধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডের বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনটি প্রথমে শুধু ঔষধ আইন থাকলেও মন্ত্রিসভায় কসমেটিকের বিষয়টিও যুক্ত করে ঔষধ ও কসমেটিকস আইন করার সিদ্ধান্ত হয়।

এর ফলে এখন কসমেটিক উৎপাদনের জন্যও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধেরও বিধান রয়েছে প্রস্তাবিত এই আইনে। এই বিধান লঙ্ঘন করলে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং সেজন্য শাস্তি পেতে হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *