নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনার রূপসা উপজেলার জাবুসা গ্রামের ইউপি সদস্য বাবর আলী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী রকিকুল ইসলাম রাজু, শাহারিয়ার বাঁধন, রনি শেখ, মানিক জোমাদ্দার, শফিকুজ্জামান রিমন, ফয়সাল শেখ, জিয়াউর রহমান জিয়া, হাবিবুর রহমান ওরফে হাবি ট্যারা এদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যু, মাদক, চুরি, ছিনতাই ও নারী কেলেঙ্কারি সহ একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জেরে জাতীয় দৈনিক ঘোষণা ও সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার খুলনা ব্যুরোচীফ সাংবাদিক রিয়াউউদ্দীন এর নামে মিথ্যা মানববন্ধন ও গায়েবী মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, রূপসার জাবুসা অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অবৈধ জমি দখল, মাদক কেনাবেচা, খুনখারাবি সহ নানাবিধ অপরাধ কর্মকান্ডের প্রবনতা বেড়েই চলেছিল এহেন অবস্থায় সাতক্ষীরার আশাশুনির সন্তান এক অকুতোভয় দেশ প্রেমিক সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন অত্র অঞ্চলে বিয়ে করার সুবাধে বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচর হয়। এই সাংবাদিকের প্রথম হাত পড়ে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর অবৈধভাবে চিংড়িতে পুশ ধরিয়ে দিয়ে। যেখানে র্যাব -৬ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারা মোতাবেক সর্বমোট ১০০০ কেজি জেলি পুশ আটক করে ম্যাজিট্রেট কর্তৃক ১লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। তারপর থেকে ঐ অঞ্চলের মাস্তান শ্রেনীর লোকজন তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে এ মর্মে রূপসা থানায় গত ০৭/১২/২১ ইং তারিখে একটি জিডি হয় যার নং-৩৪০। তখন থেকে ঐ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ যারা এই সন্ত্রাসী শ্রেনীর লোক দ্বারা নির্যাতিত এবং বিভিন্ন কায়দায় এই বাহিনী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগী মানুষরাই সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীনকে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপরাধের তথ্য দেয়া শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় জাবুসা রুপসা সেতু থেকে কুদির বটতলা পর্যন্ত কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্মা অবসান ঘটছে না শিরোনামে একটি রিপোর্ট করে। তখন এই রাজু বাহিনী তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর এবং দুনিয়া ছাড়া করবে মর্মে হুমকি ধামকি প্রদান করে এবং এলাকা ছেড়ে দিতে বলে।
এর জের ধরে সংসদ নির্বাচনের পরের দিন রাতে ওই সাংবাদিকের বাড়িতে সংগঠিত সন্ত্রাসী চক্র গত ০৮/০১/২৪ ইং তারিখে পরিকল্পিত ভাবে তার পরিবারের উপর হামলা করে যে বিষয়ে রূপসা থানায় চলমান জিডি নং- ৪৭৫। আদালতে মঞ্জুর হয়ে বিচারাধীন অবস্থায় আছে।
অত্র অঞ্চলের এই চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্র দ্বারা বিভিন্ন পরিবারের সদস্যরা তাদের জমি হারা, চাঁদা দেওয়া, হুমকি-ধামকি এক কথায় ভুক্তভোগী একাধিক পরিবার এই সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিনের কাছে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ দেয় সে বিষয়টা নিয়ে ইতিপূর্বে রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের জাবুসা ওয়ার্ডের দূর্ণীতিবাজ ইউপি সদস্য বাবর আলী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজু সহ তাদের বাহিনীর একাধিক সদস্যর বিরুদ্ধে পত্রিকায় বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন।
এতে প্রশাসনের সুনজর আসলে এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। অপর দিকে সন্ত্রাসীদের সকল অপকর্ম বন্ধ থাকায় হাত মাথায় উঠতে শুরু করেছে। অবশেষে স্থানীয় লোকজন ইউপি সদস্য বাবর আলীর অব্যহতি চেয়ে গণস্বাক্ষর করে খুলনা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পাঠানো হলে পরদিন এই সন্ত্রাসী চক্রের ভাড়া করা লোকের মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচারের জন্য এই মানববন্ধন করে। সেখানে তারা যে প্যানাটা ব্যবহার করেছে সেখানে লেখা আছে সেটা হলো সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিনকে অনলাইন পত্রিকা সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রার সাংবাদিক বানানো হয়েছে আসলে রিয়াজউদ্দিন ওই পত্রিকায় কোন কাজই করেন না।
আর সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা দেশের স্বনামধন্য প্রথম সারির সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্ত একটি পত্রিকা। যা সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন এবং সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকা কে ব্যাপকভাবে মানহানি করা হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেয়া উপস্থিত জনতা ও সংবাদ কর্মীরা বলেন, আমাদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক চাপ প্রয়োগ করে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের সাথে কথা বললে তিনি অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্টপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হইবে বলে জানান।