নারীকে উন্নয়নের মুল শ্রোতধারায় সম্পৃক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী :  সাঈদ খোকন    

Uncategorized ইতিহাস ঐতিহ্য জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।আজ শনিবার ৯ মার্চ, দুপুরে পুরান ঢাকার ওয়ারীর শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।


বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে নারীর অগ্রগতী অনেক দূর এগিছে। আজ থেকে বিশ বছর আগে নারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট কেমন ছিলো; আজ কোন অবস্থানে রয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতে গেলে দেখবেন সেখানে নারীদের রাখেন, আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে এ দৃশ্য দেখা যেত না। এভাবে চিকিৎসা, ট্রাফিক ব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ সব সেক্টরে নারীদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন বাস্তবে নারী-পুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। নারীরাও যে পারে এটা প্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নারীর অগ্রযাত্রা, নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা প্রধানমন্ত্রী করে দেখিয়েছেন। বিদেশের সঙ্গে কিভাবে সম্পর্ক ঠিক রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হয় তা প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন।আমাদের দেশের কোথাও খনিজ সম্পদ পাওয়া গেলে বড় দেশের চাপ ম্যানেজ করে কিভাবে উত্তোলন করতে হয় এটা শেখ হাসিনা ছাড়া দ্বিতীয় কেউ ভালো জানে না। কতো চমৎকার সবকিছুকে সুন্দরভাবে তিনি ম্যানেজ করতে পারেন।

আগামী শত বছরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো এমন ডাইনামিক নেতৃত্ব দেশে আসবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের ওই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, পঞ্চমবারের মতো এবং চারবার একটানা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক বদলে যাওয়া দেশের নাম বাংলাদেশ এমন কোনো দিক নেই যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বদলে যায়নি।

প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বৈদেশিক নীতি কতো চমৎকার। দ্বিতীয় কেউ এমন পারবে কিনা এটা নিয়ে সন্দেহ আছে। দেশ আজ প্রতিবেশী ভারতের চেয়েও এগিয়ে গেছে। ২০১৫ সালেই আমরা পাকিস্তানকে ছাঁড়িয়ে গেছি। এক সময় আমরা কেউ থাকবো না, কিন্তু আমাদের কর্মময় জীবন থাকবে আমাদের নেত্রী যা রেখে যাচ্ছেন সেসব থাকবে। দেশটাকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে গেলেন, বৈদেশিক সম্পর্ক কিভাবে গড়ে তুললেন; একটা অনুন্নত দেশকে কিভাবে উন্নয়নশীল দেশে হিসেবে গড়ে তুললেন। শত বছর পরেও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে গবেষণা হবে। এ সময় মোহাম্মদ সাঈদ খোকন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। তাই তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জোবেদা বেগমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এসময় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *